জেলার সদর, তালা, কলারোয়া ও দেবহাটা উপজেলায় সবচেয়ে বেশি আমবাগান রয়েছে। প্রতিটি গাছে প্রচুর গুটি ধরলেও তীব্র গরমে ঝরে পড়ছে সেগুলো।
সাতক্ষীরার বিখ্যাত হিমসাগর, ন্যাংড়া, গোপালভোগ ও আম্রপালি আম দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে এবারও বিষমুক্ত আম রপ্তানির প্রস্তুতি নিচ্ছেন আমচাষিরা। জেলায় ১৩ হাজার ১০০ জন আমচাষির মধ্যে ৩৫১ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চাষি রফতানিযোগ্য আম উৎপাদনে নিয়োজিত।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় ৪ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে রয়েছে ৫ হাজার ২৯৯টি আমবাগান। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন, যার মধ্যে ২০০ মেট্রিক টন আম রপ্তানি করা হবে।
আরও পড়ুন: জোয়ারের পানি ওঠা বন্ধ আশাশুনিতে, টেকসই বেড়িবাঁধ দাবি
কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মনির হোসেন বলেন, ‘চলতি মৌসুমে কুয়াশার প্রভাব না থাকায় ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। তবে পোকার আক্রমণ ও খরতাপ কিছুটা প্রভাব ফেলেছে। বাগান রক্ষায় নিয়মিত বালাইনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।’
বাগান মালিকরা জানান, একদিকে পর্যাপ্ত মুকুল হয়নি, অন্যদিকে খরতাপে গুটি ঝরছে। তার ওপর এবার হিমসাগর আমের উৎপাদনও কম। ফলে লোকসানের শঙ্কায় আগেভাগেই আম বাজারজাতের দাবি তুলেছেন তারা।
তবে কৃষি বিভাগ আশাবাদী, প্রকৃতি অনুকূলে থাকলে এবারও সাতক্ষীরার সুস্বাদু আম দেশ-বিদেশে চাহিদা মেটাতে পারবে।
]]>