পুলিশ খোঁজ না নিলেও ব্যবসায়ীর বাড়িতে ককটেল মেরে কথা রাখলেন হুমকিদাতারা!

৩ সপ্তাহ আগে
নড়াইল সদরের আগদিয়ায় চাঁদার অভিযোগ এনে থানায় অভিযোগ দায়েরের পর দিন ই এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে সন্ত্রাসীরা। বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাত ৮ টার দিকে সদরের আগদিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী আসাদুল খন্দকারের বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক মো. জামিল কবির ঘটনাস্থল থেকে ককটেল বিস্ফোরণের বিষয়টি সময় সংবাদকে নিশ্চিত করেছেন।

 

ভুক্তভোগীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের ২৭ তারিখ রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে ব্যবসায়ী আসাদুলের মুঠোফোনে অপরিচিত এক নম্বর থেকে ফোন করে ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। দ্বিতীয় দফায় ঘণ্টা খানেক পর আবারও ফোন করে চাঁদা না দিলে বোমা মারার হুমকি দেয়া হয়।

 

পরের দিন (২৮ অক্টোবর)  সদর থানায় ভুক্তভোগী একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর দিন থানা পুলিশের তৎপরতা না দেখা গেলেও ব্যবসায়ীর হুমকি দাতারা ঠিকই ককটেল বোমা মেরে তাদের কথা রেখেছেন। আর বিস্ফোরণ ঘটানোর পর হুমকি দাতারা পুনরায় আসাদুলকে ফোন করে নিশ্চিত করেন, তারা কথা রেখেছেন।

 

সময় সংবাদের হাতে আসা হুমকিদাতার কল রেকর্ডে ভুক্তভোগী আসাদুলকে বলতে শোনা যায়, 'আসাদুল,  তুই বলছিলি যা পারি করতে। দেখছিস পারি কি না? ফোন নম্বর নিয়ে যা পারিস কর।

 

আরও পড়ুন: মোটরসাইকেলে তিনজন এসে ককটেল মারে নির্বাচন ভবনে

 

তখন ঘটনাস্থলে বিছালী পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ উপপরিদর্শক শাহ আলম থাকায় তিনি ভুক্তভোগী আসাদুলের ফোনটি নিয়ে হুমকিদাতার সাথে নিজের পরিচয় দিয়ে কথা বলেন, ভালো আছেন? কি বলছেন ভাইকে (আসাদুল), প্রশ্নের জবাবে উত্তর আসে, কি বলছি সে বলেনি আপনাকে? তার থেকে জেনে নেন।'

 

ভুক্তভোগী আসাদুল খন্দকার সময় সংবাদকে বলেন, ' আমার ছেলে মেয়ের তথ্য দিয়ে আমাকে মুঠোফোনে দুই দফায় হুমকি দেয়া হয়। ৬ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে বোমা মারার হুমকি ও দেয় সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার(২৮ অক্টোবর) হুমকি দাতাদের মোবাইল নম্বর নিয়ে সদর থানায় ঘুরে সাধারণ ডায়েরি  (জিডি) করতে না পেরে অভিযোগ দিয়ে আসি। অভিযোগ দিয়ে আসার পর, পুলিশ আমার খোঁজ না নিলেও সন্ত্রাসীরা ঠিকই বোমা মেরে গেছে।'

 

আরও পড়ুন: বগুড়ায় সভাস্থল লক্ষ্য করে ককটেল হামলা, যা বললেন সারজিস

 

এদিকে ককটেল বিস্ফোরণে হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ব্যবসায়ীর পরিবার। ককটেল বিস্ফোরণের পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় নি।


তবে এমন ঘটনায় পুলিশের নীরব ভূমিকা ও বিছালী ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক শাহ আলমের দূরদর্শিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন