রোববার (১১ মে) জেলেনস্কির এক্স পোস্টের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
এক্স পোস্টে জেলেনস্কি লিখেছেন, ‘আমরা আগামীকাল থেকেই একটি সম্পূর্ণ এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি আশা করছি। যা কূটনীতির জন্য প্রয়োজনীয় ভিত্তি তৈরি করবে। হত্যাকাণ্ড দীর্ঘায়িত করার কোনও মানে হয় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বৃহস্পতিবার ব্যক্তিগতভাবে তুরস্কে পুতিনের জন্য অপেক্ষা করব। আশা করি এবার রাশিয়ানরা অজুহাত খুঁজবে না।’
আরও পড়ুন: জেলেনস্কিকে অবিলম্বে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসার আহ্বান ট্রাম্পের
এর আগে, পুতিনের সঙ্গে যে কোনো ধরনের আলোচনা শুরুর আগে সোমবার (১২ মে) থেকেই রাশিয়ার কাছে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
তবে রোববার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক বার্তায় জানান, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে কোনো যুদ্ধবিরতির চুক্তি চান না, বরং তিনি তুরস্কে সরাসরি আলোচনায় বসতে চান। ইউক্রেনের উচিত এখনই তা মেনে নেয়া।
চলমান রক্তক্ষয় বন্ধ করতে জেলেনস্কির উচিত বৃহস্পতিবার (১৫ মে) তুরস্কের ইস্তাম্বুলে পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় সম্মত হওয়া। ইউক্রেনকে দ্রুত বৈঠকে বসার আহ্বান জানিয়ে ট্রাম্প আরও বলেন, আমি এখন সন্দেহ করছি, ইউক্রেন আদৌ চুক্তি করতে চায় কি না। পুতিন এখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয় উদ্যাপন নিয়ে অনেক ব্যস্ত। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া এই বিজয় সম্ভবই হতো না, এমনকি ধারেকাছেও যেতে পারত না! বৈঠকে বসুন, এখনই!’
ট্রাম্পের এই বার্তার পর পরই এক্স পোস্টে পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসার ঘোষণা দিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
]]>