পুকুরে ১৬০ কেজির পাঙাশ, একসঙ্গে ছাড়ে ৮০ লাখ ডিম

৩ সপ্তাহ আগে
দেখতে যেন একেকটা জলজ দানব! একেকটা পাঙাশের ওজন ১৬০ কেজি পর্যন্ত। একটি মাছ তিনজন মানুষ মিলে তুলতেও বেগ পেতে হয়। নাম ‘মেকং জায়ান্ট ক্যাটফিশ’, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ স্বাদু পানির মাছ। একটি পরিপক্ক মা মাছ থেকে প্রজননকালে পাওয়া যায় ৬০ থেকে ৮০ লাখ পর্যন্ত ডিম।

জানা যায়, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) দুটি গবেষণায় পুকুরে ১০ বছর ধরে চাষ হচ্ছে নদীর প্রজাতির বিশাল পাঙাশ। মূলত প্রজনন সক্ষমতা ও পরিবেশগত অভিযোজন নিয়ে গবেষণার অংশ হিসেবেই মাছগুলো চাষ করা হচ্ছে। তবে মাছগুলোর বয়স আরও বেশি।


২০০৫ সালে দেশে প্রথম ময়মনসিংহের ত্রিশালের একটি খামারে আনা হয় পাঙাশের বিপন্নপ্রায় এই জাতটি। সেখান থেকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৫০টি মাছ সংগ্রহ করে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট।


বিশেষ এই মাছটি দৈর্ঘ্যে তিন মিটার পর্যন্ত হতে পারে, আর ওজনে পৌঁছাতে পারে ৩০০ কেজিতে। গোলাকার থুতনি, বড় মাথা, রূপালি ধূসর দেহ আর ফ্যাকাসে সাদা পেট, দেখতে যেন অনন্য।


আরও পড়ুন: পদ্মায় জেলের জালে উঠে এলো ২৫ কে‌জির পাঙাশ, বিক্রি কত?


বিএফআরআইয়ের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আসফ উদ দৌলাহ জানান, চোয়াল ও দাঁতবিহীন এই তৃণভোজী মাছ সাধারণত পানির নিচে পাথর ও নুড়িপাথরের স্তরে থাকতে পছন্দ করে।


তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল টার্গেট হলো এই মাছ থেকে কীভাবে আমরা রেণু উৎপাদন করতে পারি। তবে এই মাছগুলোর মধ্যে এখনো প্রজননের জন্য পরিপক্কতা আসেনি। পুরুষ মাছে স্পার্ম ও নারী মাছে ডিম আসলেই ব্রিডিং করানো সম্ভব হবে। আমরা সেই অপেক্ষাতেই আছি।’


আরও পড়ুন: বড়শিতে ধরা পড়ল সাড়ে ২৩ কেজির পাঙাশ, বিক্রি কত?


সম্ভাবনাময় এই মাছটির কৃত্রিম প্রজননে সফলতা অর্জন সম্ভব হলে চাষি পর্যায়ে পাঙাশ উৎপাদনে বাংলাদেশে বিপ্লব ঘটবে বলে আশা ইন্সটিটিউটের কর্মকর্তাদের।


এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হারুনুর রশিদ বলেন, ‘আমরা মাছটি প্রজননের চেষ্টা করছি। তাতে সফল হলে এটি চাষি পর্যায়ে পৌঁছানো গেলে অল্প খরচে অনেক লাভ পাওয়া যাবে। যা দেশের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিশ্বের বাজারেও রফতানি করা সম্ভব হবে বলে আমরা আশাবাদী।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন