এক সময় উত্তরের জেলাগুলোর নদী, নালা, খাল, বিল, পুকুর কিংবা জলাশয়ে সব সময় পানি থাকলেও এখন যেন মরুভূমির চরে রূপ নিয়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তনে দিন দিন পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায়, মরা খালে পরিণত হচ্ছে মৎস্য উৎপাদনের পুকুরগুলোও।
শুষ্ক মৌসুম পুরোপুরিভাবে বিরাজ না করলেও মৎস্য উৎপাদনের চালিকা শক্তির গভীর খননকৃত এই পুকুরগুলোর পানিও এখন থেকেই শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। শ্যালো মেশিনে পানি দিয়েও ধরে রাখা যাচ্ছে না। অনেকে আবার পুকুরের পানি ধরে রাখতে না পেরে মাছচাষ বন্ধ করে দিচ্ছেন। শুকনো পুকুরে জাল ফেলে তুলছেন ছেড়ে দেয়া মাছ।
আরও পড়ুন: বন্ধ প্রায় শরীয়তপুরের একমাত্র সরকারি মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার
চাষি ও উদ্যোক্তারা বলেন, পুকুরে পানি দিলেও থাকছে না, শুকিয়ে যাচ্ছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে মাছ উৎপাদন। সমস্যা সমাধানে সরকারি সহায়তা প্রয়োজন।
জেলা মৎস্য বিভাগ বলছে, চাষিদের কথা চিন্তা করে সংশ্লিষ্ট দফতরে প্রকল্পের চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে। ঠাকুরগাঁও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আরাফাত উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ে বেশকিছু প্রকল্পের চাহিদাপত্র দাখিল করা হয়েছে। এটি অনুমোদন ও বাস্তবায়ন হলে প্রান্তিক চাষিরা পুকুরে পানি ধরে রাখতে পারবে। পাশাপাশি অগ্রগতি সাধিত হবে মাছ চাষেও।
জেলা মৎস্য অফিসের তথ্যমতে, ঠাকুরগাঁওয়ে ১৩টি নদীর পাশাপাশি প্রায় ১৫ হাজার দীঘি-পুকুর-জলাশয় এবং ১২টি মৎস্য হ্যাচারি রয়েছে। এ থেকে মাছ উৎপাদন হয় ৩৮ হাজার মেট্রিক টন। এ জেলার জনসংখ্যার তুলনায় দেড় হাজার মেট্রিক টন মাছ ঘাটতি রয়েছে।
]]>