গ্রেফতারকৃতরা হলেন—পিরোজপুর জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসার মো. মোহাসীন, এসএএস সুপার মো. মাসুম হাওলাদার ও নজরুল ইসলাম, সাবেক ডিস্ট্রিক্ট অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসার মো. আলমগীর হাসান এবং পিরোজপুর এলজিইডি অফিসের হিসাবরক্ষক একেএম মোজাম্মেল হক খান।
মঙ্গলবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম পিরোজপুরে ২৩ জনকে অভিযুক্ত করে মোট ৮টি মামলা দায়ের করেন। বুধবার তাদের মধ্য থেকে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে তিনদিন ধরে ৩ মাদ্রাসাছাত্র নিখোঁজ
জানা যায়, ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পিরোজপুর এলজিইডি অফিসের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। এরপর স্থানীয় সরকার বিভাগ ও এলজিইডি প্রধান কার্যালয়ের একাধিক তদন্তে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তে দেখা যায়, কাজ সম্পূর্ণ না করেই ঠিকাদারদের বিল পরিশোধ করা হয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি। এছাড়া ১ হাজার ১০১ কোটি টাকার প্রকল্পে হিসাব গরমিল পাওয়া যায়।
পরবর্তীতে দুদক বিষয়টি অনুসন্ধান করে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ার পর মামলা দায়ের করে। তদন্তে উঠে আসে, এলজিইডি ও জেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই এ দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে।
]]>