সরকারকে রাজস্ব দিলে দেশের উন্নয়ন হয়, এটাই অর্থনীতির সহজ সূত্র। কিন্তু সেই রাজস্ব যখন ফাঁকি দিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটের মহোৎসব চলে, তখন দেশের উন্নতি বাধাগ্রস্ত হয়। তেমনই চিত্র দেখা যাচ্ছে পাবনার বিভিন্ন এলাকায়, যেখানে ইছামতী নদীর সরকারি মাটি কেটে অবৈধভাবে বিক্রি করা হচ্ছে প্রকাশ্যে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পাবনার ইছামতী নদীর তীরবর্তী বেশ কয়েকটি এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে ড্রাম ট্রাকের মাধ্যমে মাটি কেটে অন্যত্রে বিক্রি করা হচ্ছে। এই অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে সরকার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
স্থানীয়রা বলছেন, মসজিদ মাদ্রাসায় বিনামূল্যে মাটি দেয়ার নামে নিজ স্বার্থে কিছু অসাধু ব্যক্তি লুটে নিচ্ছেন এসব মাটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানায়, সরকারের দেয়া নিয়ম না মেনে কয়েকজন অসাধু ব্যক্তি প্রভাব বিস্তার করে ইছামতী নদীর আশপাশে রাখা সরকারি মাটি ড্রাম ট্রাকের মাধ্যমে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে পাবনা শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মহাতাব উদ্দিন বিশ্বাসের নামেই বেশি মাটি নেয়া হচ্ছে। যা চলে যাচ্ছে ব্যক্তিগত কাজে। কোনো মসজিদ বা মাদ্রাসায় দেয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: গড়াই নদীতে প্রভাবশালীদের দাপটে লুট হচ্ছে ইজারার বালু
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকজন বলেন, ‘মসজিদ-মাদ্রাসার জন্য ২ ট্রাক নেয়া হলে বাকি ১০ ট্রাক ব্যক্তিগত কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে। প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে।’
এদিকে, নিয়ম মেনেই মাটি অন্যত্রে নেয়া হচ্ছে বলে দাবি অভিযুক্তদের। তারা জানায়, নদীর মাটি নিয়ম মেনেই নেয়া হচ্ছে। তবে একদল অসাধু ব্যক্তি আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা সঠিক নয়।
এসব বিষয়ে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার বলেন, ‘আমরা এরইমধ্যে বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের সত্যতা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
কর্তৃপক্ষের দেয়া তথ্যমতে, ২০২৪ সালে ১৫৫৪ কোটি টাকা ব্যায়ে ইছামতী নদীর প্রায় ১১০ কিমি খননের কাজ শুরু হয়।

৩ সপ্তাহ আগে
৬







Bengali (BD) ·
English (US) ·