পান্তা ভাতের এতো পুষ্টিগুণ আগে জানতেন?

১ সপ্তাহে আগে
বাঙালি ঐতিহ্যের একটি অন্যতম খাবার পান্তা ভাত। গরমের এ সময় অনেকেই এ খাবারকে ডায়েটে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তাছাড়া পহেলা বৈশাখের ঐতিহ্যবাহী খাবার হিসেবেও পান্তা ভাত খুব জনপ্রিয়।

পান্তাভাত মূলত কৃষকের খাবার হিসেবে পরিচিত। গ্রাম বাংলার কৃষকরা সকালে পান্তা ভাত খেয়ে দিন শুরু করেন। কৃষককে সারাদিন কর্মক্ষম রাখতে এ পান্তা ভাতই দারুণ কাজ করে শরীরে।
 

এদেশে পান্তা ভাত খাওয়ার চল রয়েছে সরিষা তেল, পেঁয়াজ, কাচামরিচ, লবণ আর মাছ ভাজা দিয়ে। যেহেতু বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ তাই পহেলা বৈশাখে খাবারের ঐতিহ্য হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে পান্তা-ইলিশকেই।
 

গরমের এ সময়টাতে পান্তা ভাত খাওয়ার অভ্যাসে লুকিয়ে রয়েছে অসংখ্য স্বাস্থ্য উপকারিতা। এগুলো হলো-
 

১.পান্তা ভাতে আয়রনের পরিমাণ বাড়ে ২১ গুণ যা আয়রন ডিফিশিয়েন্সি কিংবা এনিমিয়া বা রক্তশূন্যতা কমায়।

২.মাত্র একশগ্রাম পান্তা ভাতে প্রায় তিন ট্রিলিয়ন ভালো ব্যাকটেরিয়া থাকে যাদের প্রোবায়োটিকস বলে। যার কাজ হলো শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করা।

 

আরও পড়ুন: কী উপকারিতা রয়েছে ভেজানো কিশমিশে?



৩. এতে পটাসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়ামের পরিমাণ এমনভাবে বাড়ে যা একজন স্বাভাবিক মানুষের দৈনিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত।

৪. গরম ভাতে যে পরিমাণ ফ্যাট থাকে পান্তাভাতে তা প্রায় ৬ গুণ কমে যায়। স্লিম থাকার জন্যও পান্তা সাহায্য করে।

৫. পান্তা ভাতকে বলা হয় ন্যাচারাল কুলার। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

৬. নিয়মিত পান্তা খেলে সবরকম আলসার সেরে যায়।

৭. এ খাবার ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।

৮. সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সকালে পান্তা খেলে সারাদিনের কর্মক্ষমতা ও এনার্জির যোগান দেয়।

৯. ব্যস্তময় জীবনে অনেকেই এখন নিদ্রাহীনতায় ভোগেন। তারা নিয়মিত পান্তা খেতে শুরু করতে পারেন। কারণ পান্তা নিদ্রাহীনতা দূর করে।

 

আরও পড়ুন: কেন রাতে বেশি খাওয়া ক্ষতিকর?

 

১০. নিয়মিত পান্তা খেলে কোলাজেনের পরিমাণ বাড়ে, যা ত্বক টানটান রাখতে অর্থাৎ তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাই রূপচর্চায় সময় ব্যয় না করে সকালে সরিষা তেল, পেঁয়াজ, কাচা মরিচ, লবণ দিয়ে পান্তা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন