শুক্রবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে এলাকাটি পরিদর্শন করে পাউবোর শাখা কর্মকর্তা সাগর হোসেন বাদী হয়ে মিরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এ ঘটনায় জেলা জুড়ে চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে। চলছে আলোচনা-সমালোচনাও।
এ বিষয়ে গোবিন্দগুনিয়া জামে মসজিদের সভাপতি মিজানুর রহমান মজনু বলেন, ‘জায়গাটি মসজিদের নয়, আর মসজিদের নামে কেউ গাছ কাটার অনুমতি নেয়নি। এটা পুরোপুরি অবৈধ কাজ। আমরা নিজেরাই এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। এই নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়েছে।’
এদিকে, গাছ কাটার বিষয়টি স্বীকার করে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মো. বাবু দাবি করেন, ‘মসজিদের উন্নয়ন ও লাশঘর নির্মাণের জন্যই গাছগুলো কাটা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: আড়িয়াল খাঁ নদ থেকে বালু উত্তোলন, ঝুঁকিতে শতকোটি টাকার সেতু
এর আগে অভিযোগ উঠে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মালিকানাধীন গোবিন্দগুনিয়া স্লুইসগেট সংলগ্ন সরকারি জিকে ক্যানাল সড়কের পাশে কয়েক শতাধিক ইফিলিপি গাছ কেটে উধাও করেন স্থানীয় ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বাবু ও তার লোকজন। গ্রামের মসজিদের নাম ব্যবহার করে রাতে-দিনে লাখ লাখ টাকার গাছ কেটে উধাও করেন। একদিন দুদিন নয়, প্রায় এক মাস ধরে জিকের গাছগুলো কাটেন তারা।
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, ‘গাছকাটার খবর শোনার পরই আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এলাকাটি পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছি। অপরাধীদের শনাক্তে কাজ করছে পুলিশ।’
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘পাউবো থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’