একটি সরকারি শিক্ষা অফিসের পাঁচ নারী সহকর্মী থাইল্যান্ডে গিয়েছিলেন তাদের অফিসের প্রমোশন উদযাপন করতে। কিন্তু গত রোববার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় ১৭৯ জন নিহত হন। ওই ৫ নারীও ছিলেন তাদের মধ্যে।
দক্ষিণ কোরিয়ার মাটিতে জেজু এয়ারের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ছিল কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ।
আরও পড়ুন:যেভাবে দক্ষিণ কোরিয়ার বিধ্বস্ত বিমান থেকে বেঁচে গেলেন ২ ক্রু
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) পাবলিক এডুকেশন অফিসের ওই পাঁচজনের ডেস্ক ফাঁকা পড়ে ছিল। সহকর্মী এবং বন্ধুদের হারানোর ঘটনায় এখনও হতবাক অফিসের কর্মীরা। বন্ধুদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করতে হাতে কালো ফিতা পরেছিলেন সবাই। নির্বিকার তাকিয়ে দেখছিলেন খালি পড়ে থাকা টেবিল চেয়ারগুলো। সেখানে রাখা হয়েছিল সাদা চন্দ্রমল্লিকা।
নিহতের একজনের সঙ্গে একই ডেস্কে কাজ করা একজন কর্মকর্তা লি ডাই-কেউন বলেন, ‘একে সত্যি বলে মনে হচ্ছিল না। মনে হয়েছিল এটি বাস্তব কোন ঘটনা না, স্বপ্ন।’
তিনি বলেন, যখনই খালি ডেস্কে ফুলগুলো দেখছি, তার মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠছে।
‘একজন সহকর্মী হিসেবে, তিনি সত্যিই কঠোর পরিশ্রমী এবং সুন্দর ছিলেন। অন্যদের প্রতি সদয় ছিলেন। তিনি আমাকে সবসময় খুশি এবং ইতিবাচক থাকতে বলেছিলেন’, লি বলেন একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে।
লি আরও বলেন, তিনি তার অন্য সহকর্মীদের সাথে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন নিহত সহকর্মীদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের জন্য খাবার সরবরাহ করতে; যারা দীর্ঘক্ষণ সেখানে বসেছিলেন।
অফিসের কর্মকর্তারা একটি বেদি স্থাপন করেছেন যেখানে সহকর্মী এবং প্রতিবেশীরা সমবেদনা জানাতে আসতে পারেন বলেও জানান লি।
আরও পড়ুন:১৭৯ জনের মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ দক্ষিণ কোরিয়া
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) থাইল্যান্ড থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেজু এয়ারের ফ্লাইটটি রানওয়ের দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে ক্রুসহ ১৮১ জন যাত্রীর মধ্যে দুজন ছাড়া বাকি সবাই নিহত হন।