পল্টন ট্র্যাজেডি দিবসে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা পুনরুজ্জীবিত করার দাবি

৩ সপ্তাহ আগে
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ১৪ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা পুনরুজ্জীবিত করার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে পল্টন ট্রাজেডি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এমন দাবি জানান।

 

ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পূর্ব সভাপতি আসিফ আব্দুল্লাহ ও দক্ষিণ সভাপতি হেলাল উদ্দিনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। 

 

অনুষ্ঠানে রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ২৮ অক্টোবর আমাদের জন্য যেমন বেদনার, তেমনি প্রেরণারও। সেদিন ছিল চারদলীয় জোট সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তরের দিন। সেদিন জামায়াতে ইসলামী আনুষ্ঠানিক সমাবেশ শেষে বঙ্গভবনে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সেই সময় শেখ হাসিনা তার দলের শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসীদের লগি-বৈঠা নিয়ে ঢাকায় আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সকাল থেকেই তারা পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা পরিচালনা করে এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সকালেই ৬ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করে।

 

তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের জন্য সুনির্দিষ্টভাবে শেখ হাসিনাকে ১ নম্বর আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু অদৃশ্য শক্তির ইশারায় সেই মামলার অধিকতর তদন্তের কথা বলে সময়ক্ষেপণ করা হয়। পরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে মামলা প্রত্যাহার করে নেয়।

 

তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করে শেখ হাসিনা-সহ ১৪-দলের সংশ্লিষ্ট খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করুন।

 

আরও পড়ুন: যত মানুষ মেরেছে, ততবার ফাঁসি দিতে হবে শেখ হাসিনার: রফিকুল

 

অনষ্ঠানে ছাত্রশিবির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ২৮ অক্টোবরের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমেই হাসিনা ১/১১-এর কালো অধ্যায় তৈরি করেছিলেন এবং সেই অধ্যায়ের মাধ্যমেই বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী কার্যক্রমের সূচনা হয়েছিল।

 

সরকারের প্রতি দুটি দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ২৮ অক্টোবরের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদের বীজ বোনা হয়েছিল। তাই এ হত্যাকাণ্ডের মামলাটি ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে পুনরায় চালু করে দ্রুত বিচারকার্য সম্পন্ন করতে হবে, যাতে খুনিরা সর্বোচ্চ শাস্তি পায়। পাশাপাশি ২৮ অক্টোবর সারাদেশে নিহত ১৮ জন ভাইকে রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদের স্বীকৃতি প্রদান এবং তাদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানাই।

 

আরও পড়ুন: নভেম্বরে গণভোটের প্রস্তাব জামায়াতের, ইসিতে ১৮ সুপারিশ

 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল ইসলাম বুলবুল, ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম, কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম, কেন্দ্রীয় সেক্রেটারিয়েট সদস্যবৃন্দ, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি, জাকসুর জিএস মাজহারুল ইসলাম, শহীদ শিপনের পিতা তাজুল ইসলাম, অন্যান্য শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

 

আলোচনা সভার পাশাপাশি দিবসটি উপলক্ষে আলোকচিত্র প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়। সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে চলে আয়োজন। 
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন