মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘জমিনে যা কিছু আছে সব কিছু তোমাদের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে।’ (সুরা বাকারা: ২৯)
গাছ লাগানো সদকা
প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ গাছ। মূল্যবান এ সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব মানুষেরই। অকারণে গাছ কাটা, শস্য নষ্ট করা গুনাহের কাজ। গাছপালা মানুষের জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য। যুদ্ধের সময়ও নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম গাছ কাটতে নিষেধ করেছেন।
হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম বলেছেন,
কোনো মুসলমান যদি একটি গাছ লাগায় বা কোনো ফসল বপন করে এবং তা থেকে যদি কোনো পাখি, মানুষ বা জন্তু খায়, তবে তা তার জন্য সদকা হিসেবে গণ্য হবে। (বুখারি, হাদিস: ২৩২০; মুসলিম, হাদিস: ১৫৫২)
আরেক হাদিসে আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসল্লাম বলেছেন
কিয়ামত কায়েম হওয়ার মুহূর্ত এসে পড়লেও যদি তোমার হাতে একটি খেজুর গাছের চারা থাকে, তবে তা রোপণ করে দাও। (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস: ১২,৪৯১)
আরও পড়ুন: বৃষ্টির পানি দিয়ে কি অজু করা যাবে?
অপচয় না করা
ইসলামি শরিয়তে অপচয়কারীকে শয়তানের ভাই বলা হয়েছে। ইবাদতের ক্ষেত্রেও অপচয় করতে নিষেধ করা হয়েছে। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, একদিন নবীজি (সা.) হজরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.)-এর পাশ দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি তখন অজু করছিলেন। নবীজি (সা.) তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘এত অপচয় কেন?’ সা’দ বললেন, ‘অজুতে কি অপচয় হয়?’ নবীজি (সা.) উত্তরে বললেন, ‘হ্যাঁ, এমনকি যদি তুমি প্রবহমান নদীর থেকেও অজু করো।’ (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস: ৭,০৬৫)
উপরোক্ত এ হাদিস শিখায়, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহারে সংযমী হওয়া জরুরি, এমনকি তা ইবাদতের ক্ষেত্রে হলেও।
আরও পড়ুন: জাদু থেকে কীভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন
পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা
সব সময় পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা। হজরত মুয়াজ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি (সাধারণ) সতর্ক করে বলেছেন,
তিনটি কাজ থেকে সাবধান থেকো-- যেগুলোর কারণে মানুষ অভিশপ্ত হয়: ১. এমন ছায়াযুক্ত স্থানে মলত্যাগ করা, যা মানুষ ব্যবহার করে, ২. চলাচলের পথের মধ্যে মলত্যাগ করা, ৩. পানি সংগ্রহের জায়গায় অশুচি করা। (আবু দাউদ, হাদিস: ২৬)
এই হাদিস স্পষ্টভাবে পরিবেশ ও জনসাধারণের উপযোগিতার স্থানসমূহ রক্ষা করার নির্দেশনা দেয়। এ থেকে বোঝা যায়, ইসলাম শুধুই ব্যক্তি ইবাদতের শিক্ষা দেয় না, সামাজিক সচেতনতার দিকেও গুরুত্ব দেয়।
]]>