পরিবেশ সুরক্ষায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর গুরুত্বরোধ

৩ সপ্তাহ আগে
ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সবুজ পৃথিবী গড়তে সৌর, বায়ু ও জলবিদ্যুতের মতো নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন এবং ব্যবহারে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগ আরও বেশি বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন পরিবেশ কর্মীরা।

একই সঙ্গে জীবাশ্ম জ্বালানির ক্ষতিকারক প্রভাব এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎসের সম্ভাবনা নিয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টিতেও গুরুত্বারোপ করছেন তারা।


রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে রংপুর মহানগরীর মাহিগঞ্জ তাজহাট এলাকায় পরিবেশ সুরক্ষায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন ও ব্যবহার বিষয়ক সচেতনতামূলক প্রচারাভিযানে এ কথা জানান পরিবেশ উন্নয়ন কর্মীরা।


‘আমাদের একটি স্বপ্ন আছে’ স্লোগানে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেভেলপমেন্ট অব পুওর সোসাইটি-ডপস, ক্লিন, এবং বিডব্লিউজিইডি যৌথভাবে এই প্রচারাভিযানের আয়োজন করে। এতে শিক্ষার্থী, পরিবেশ উন্নয়নকর্মী, সংগঠক ও স্থানীয় এলাকাবাসী অংশ নেন।

আরও পড়ুন: অস্তিত্ব সংকটে ময়মনসিংহের শতাধিক নদ-নদী

সেখানে বক্তব্য রাখেন, ডপস-এর নির্বাহী পরিচালক উজ্জ্বল চক্রবর্তী, ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরামের আহ্বায়ক সাব্বির মোস্তফা আরিফ পিয়াল, এনজিও কর্মী নাজিম উদ্দিন সরকার সুমন, সুবল মুখার্জি, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান, রেদওয়ানুল হক প্রমুখ।


প্রচারণাভিযানে ডপস-এর নির্বাহী পরিচালক উজ্জ্বল চক্রবর্তী বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি গ্রহণ কেবল পরিবেশের জন্যই নয় বরং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি কর্মসংস্থান সুযোগ তৈরি করে। দেশের জ্বালানি নিরাপত্তাকে শক্তিশালী করে। এজন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগ জরুরি। কারণ পরিবেশের সুরক্ষার সাথে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন ও ব্যবহার গুরুত্ব বহন করে।


ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরামের আহ্বায়ক সাব্বির মোস্তফা আরিফ পিয়াল বলেন, ‘২০৫০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুতের শতভাগ চাহিদা মেটাতে হবে। বর্তমানে নবাবয়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে দেশে মোট বিদ্যুৎ চাহিদার শতকরা ২ ভাগ মেটানো সম্ভব হচ্ছে। রংপুর জেলায় অনেক খাস জমি, নদীর তীরবর্তী ফাঁকা স্থানে সোলার স্থাপনের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো সম্ভব। এছাড়া পরিকল্পিতভাবে প্রতিটি বহুতল ভবনের ছাদে সোলারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে নিজস্ব চাহিদা মিটিয়ে তা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এতে করে জীবাশ্ম জ্বালানির প্রয়োজন কমে যাবে এবং পরিবেশ সুরক্ষিত থাকবে।’

আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ রোধে ছাদ বাগান বড় ভূমিকা রাখতে পারে: রিজওয়ানা

আয়োজকরা জনান, নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরিবেশ সুরক্ষায় সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করা এ প্রচারাভিযানের উদ্দেশ্য। রংপুর অঞ্চলসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও এ ধরনের প্রচার কার্যক্রমের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানিকে এগিয়ে নেওয়া এবং সবার জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যত গড়ে তোলায় জনসচেতনতা বাড়াতে কাজ করছে তারা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন