পরমাণু কর্মসূচিতে ব্যাঘাত ঘটেনি: ইরানের পারমাণবিক প্রধান

২ সপ্তাহ আগে
ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার (এইওআই) প্রধান মোহাম্মদ ইসলামি বলেছেন, তার দেশের পারমাণবিক কর্মকাণ্ডে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি। ব্যাঘাত রোধ করার জন্য সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। খবর মেহের নিউজের।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) এক বক্তব্যে ইরানের শীর্ষ পরমাণু কর্মকর্তা আরও বলেন, এইওআই প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং হামলার শিকার স্থাপনাগুলোতে ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন করছে।

 

পারমাণবিক শিল্পে উৎপাদন ও পরিষেবা প্রক্রিয়ায় বিরতি রোধে যেসব পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে তা তুলে ধরে এসলামি বলেন, ইরান পারমাণবিক কার্যক্রম পুনরুদ্ধারের জন্য আগে থেকেই একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছিল।

 

আরও পড়ুন: ইসরাইল যুদ্ধবিরতি সম্মান করলে ইরানও করবে: মাসুদ পেজেশকিয়ান

 

মঙ্গলবার পৃথক এক মন্তব্যে এইওআই মুখপাত্র বেহরুজ কামালভান্দি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আইআরআইবিকে বলেন, ইরানের পারমাণবিক শিল্প গভীরে প্রোথিত এবং শত্রুদের পক্ষে এই প্রযুক্তি উপড়ে ফেলা অসম্ভব।

 

কয়েক দিনের হামলায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ হয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও এখনো প্রকাশ হয়নি হামলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, কর্মসূচিতে কিছুটা ধাক্কা লাগলেও পুরোপুরি থেমে যায়নি ইরানের পরমাণু সক্ষমতা।

 

ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, মূল ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে। 

 

আরও পড়ুন: ‘চিন্তায় যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল’ / ৪০০ কেজি ইউরেনিয়াম কোথায় সরাল ইরান?

 

ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান- এই তিনটি কেন্দ্রই ইরানের পরমাণু কর্মসূচির প্রাণভোমরা। ট্রাম্পের দাবি, এই আঘাতে ইরান অন্তত কয়েক বছর পিছিয়ে পড়েছে এবং তাদের পারমাণবিক হুমকি এখন আর অবশিষ্ট নেই।

 

ফোর্দোতে নিক্ষেপ করা হয় ১৪টি ‘বাংকার-বাস্টার’ বোমা, যেগুলো ভূগর্ভে ২০০ ফুট নিচে বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম। নাতাঞ্জে আঘাত হানে স্টিলথ বোমার বহর, আর ইসফাহানে ছোড়া হয় টমাহক ক্রুজ মিসাইল।

 

আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থা জানায়, ইসফাহানের ছয়টি ভবন ধ্বংস হয়েছে, যার মধ্যে ছিল একটি কেমিক্যাল ল্যাব ও দূষিত উপকরণ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র। তবে ফোর্দো বা নাতাঞ্জে কেন্দ্রীয় ইউরেনিয়াম সঞ্চয়াগারের অবস্থা এখনও নিশ্চিত নয়। কোনো স্বাধীন মূল্যায়ন এখনো প্রকাশ পায়নি বলে জানায় গণমাধ্যম।

 

ইরান বলছে, হামলার আগেই মূল উপকরণ সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভিতে এক উপদেষ্টা দাবি করেন, স্থাপনাগুলো খালি ছিল, তাই বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। আন্তর্জাতিক পরমাণু সংস্থা ও গালফ রাষ্ট্রগুলো জানায়, কোনো তেজষ্ক্রিয় পদার্থ লিক হয়নি, যা ইঙ্গিত করে, মূল সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম এখনও হয়ত অক্ষত আছে।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন