ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ প্রথমে পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের কালান্দিয়া এবং বেথলেহেম চেকপয়েন্টে প্রবেশে বাধা দেয়। এরপর আল আকসায় পৌঁছাতেও বাধা দেয়া হয়।
ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে যে তাদের কাছে বৈধ নথিপত্র ছিল না। তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এই ধরনের বিধিনিষেধকে ন্যায্যতা দেয়ার জন্য একে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন:আল আকসা মসজিদ ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চলছে: শেখ ইকরামা সাবরি
ফিলিস্তিনি জেরুজালেম গভর্নরেট স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মতে, জেরুজালেমের পুরাতন শহরের গলিতেও ইসরাইলি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। যা একে ‘সামরিক অঞ্চলে’ পরিণত করে। এখানেও ফিলিস্তিনিরা বাধার মুখে পড়ে বলে জানানো হয়।
এমনকি মসজিদের গেটেও ফিলিস্তিনিদের বাধা দেয়া হয় বলে তুরস্কের আনাদোলু এজেন্সির বরাত দিয়ে স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে।
গত বছর, একই রকম কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে, ২০০,০০০ ফিলিস্তিনি আল-আকসায় এই নামাজ আদায় করেছিলেন।
এই মাসের শুরুতে, রমজান মাস উপলক্ষে ইসরাইল ঘোষণা করে যে, তারা কেবল ১২ বছরের কম বয়সী শিশু, ৫০ বছরের বেশি বয়সী নারী এবং ৫৫ বছরের বেশি বয়সী পুরুষদেরই প্রবেশের অনুমতি দেবে।
ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র রাত লাইলাতুল কদরের রাতে এই নামাজ অনুষ্ঠিত হয় যা রমজানের শেষ দশ দিনে পড়ে। এই রাত, যাকে ইংরেজিতে ‘নাইট অফ দ্য পাওয়ার’ বলা হয়। কারণ এই পবিত্র রাতে ফেরেশতা জিব্রাইল নবী মুহাম্মদের উপর পবিত্র কুরআন নাজিল করেছিলেন।
আরও পড়ুন:সৌদি আরবে ঈদ কবে?
এদিকে এই মাসে আল-আকসায় অনুষ্ঠান কভার করার জন্য সাংবাদিকদের উপর ইসরাইলি বাহিনী বিধিনিষেধ আরোপ করে। কর্তৃপক্ষ কমপক্ষে ১৩ জন সাংবাদিককে আল-আকসা প্রাঙ্গণে প্রবেশে বাধা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্র: দ্য নিউ আরব
]]>