রোববার (২২ নভেম্বর) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পুলিশ বলছে, ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন এবং তিন আসামির দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে ইমন আলী ও মো. মুকিমের ছেলে মো. নয়ন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম শাকিল হাসান বলেন, ধর্ষণের ঘটনাটি চলতি বছরের গত এপ্রিল মাসের। ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে আসামি নয়নের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই সম্পর্কের সূত্র ধরে শিক্ষার্থীকে নৌকায় করে পদ্মার চরে ঘুরতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
জানা যায়, ভুক্তভোগী মেয়েটি শিবগঞ্জের একটি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। প্রথমে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবার আইনের আশ্রয় না নিয়ে ঘটনাটি চেপে যান। পরবর্তীতে চলতি মাসের ১০ তারিখে মামলা দায়ের করলে ওইদিনই ইমন ও নয়নকে গ্রেফতার করা হয়। মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়। দুজনকে গ্রেফতার করা হলেও অপর আসামি পলাতক রয়েছে।
পরিদর্শক এসএম শাকিল হাসান আরও বলেন, ‘গ্রেফতার দুজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। যেহেতু আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন, সেহেতু ভুক্তভোগী ন্যয়বিচার পাবেন বলে আশা করছি।’
আরও পড়ুন: বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে চলন্ত বাসে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, পদ্মার চরে ওই মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হচ্ছে। এসময় আরেক যুবক ওই মেয়েকে চেপে ধরে ছিল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই মেয়ের এক স্বজন বলেন, তারা তিনজন মিলে ধর্ষণ করে। কিন্তু মেয়েটি ভয়ে কাউকে ঘটনার কথা বলেনি। কিন্তু ধর্ষণকারীদের মাধ্যমেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে পরে বাধ্য হয়েই মামলা করে তার মা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনএম ওয়াসিম ফিরোজ বলেন, পুলিশ মূল আসামিদের গ্রেফতার করেছে। কিন্তু তার আগেই ভিডিওটি ছড়িয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এখন শত শত আইডি থেকে ভিডিওটি ছড়াচ্ছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের জন্য কষ্টসাধ্য। তবে এরইমধ্যে আমাদের সাইবার টিম সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ভিডিওটি ছড়ানোরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধও করা হয়েছে।

৩ দিন আগে
২






Bengali (BD) ·
English (US) ·