শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির নাম আলমগীর তালুকদার (৫০)। তিনি বড় আউলিয়াপুর গ্রামের মোজাম্মেল তালুকদারের ছেলে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৮ এপ্রিল (মঙ্গলবার) থেকে আলমগীর তালুকদারের সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, সেদিনই তাকে হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় যুবককে ৯ খণ্ড করে হত্যা, প্রেমিকাসহ গ্রেফতার ২
শনিবার সকালে নিহতের স্ত্রী ও ছেলে বাড়িতে এসে পচা গন্ধ টের পান। পরে ঘরের তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকলে আলমগীর তালুকদারের মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সদর থানা পুলিশ, সিআইডি, ডিবি, পিবিআইসহ জেলা পুলিশের একাধিক টিম। এসময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার জাহিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাজেদুল ইসলাম, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহমেদ প্রমুখ।
নিহতের বড় ছেলে মো. রিয়াজ হোসেন (৩০) বলেন, ‘বাবার সঙ্গে কারো কোনো শত্রুতা ছিল না। কে বা কারা তাকে এভাবে হত্যা করেছে, তা বুঝে উঠতে পারছি না। আমরা আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।’
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে নবজাতক, বৃদ্ধ ও যুবকের মরদেহ উদ্ধার
মৃত ব্যক্তির নাম আলমগীর তালুকদার। তিনি জৈনকাঠী ইউনিয়নের মৃত মোজাম্মেল হক তালুকদারের ছেলে। আলমগীর বাড়িতে একাই থাকতেন। তার স্ত্রী ও সন্তান ঢাকায় থাকতেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার আনোয়ার জাহিদ বলেন, ‘ঘটনাটি আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। সিআইডি ও পিবিআই যৌথভাবে কাজ করছে। প্রকৃত রহস্য খুব শিগগিরই উদঘাটন হবে। এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের অতিদ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।’