পটুয়াখালী ইপিজেড: কী কী থাকছে, কাজ কতদূর?

২ ঘন্টা আগে
উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীর অর্থনীতিতে আসতে যাচ্ছে চমক। নির্মিত হচ্ছে রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা (ইপিজেড)। ৪১৮ একর জমির উপর নির্মিত এই শিল্প এলাকায় ২০২৬ সালের প্লট বরাদ্দ দেয়া শুরু হতে পারে। আশাবাদী উদ্যোক্তা ও এলাকাবাসী দেখছেন ভাগ্য পরিবর্তনের নতুন সুযোগ।

পটুয়াখালীর সদর উপজেলার আউলিয়াপুরে চলছে ইপিজেডের কাজ। ২০২৩ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২৬ সালে। ১ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকার প্রকল্প এলাকার আয়তন ৪১৮ একর। এর মধ্যে ১৩০ একর জমিতে বালু ভরাট হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় কুয়াকাটায় তৈরি হবে বিনিয়োগকারী ক্লাব।

 

প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আগামী ৬ মাসের মধ্যে পুরো মাটি ভরাটের কাজ শেষ হবে। এখানে ১৫৪টি ফ্যামিলির জন্য বাড়িঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এখানে ড্রেন, ফুটপাত, কালভার্ট, স্কুলসহ বিভিন্ন কাজ করা হবে। আগামী এক বছরের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের মাঝে প্লট বরাদ্দ দিতে পারব।

 

আরও পড়ুন: ইপিজেডে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ২২.৩৩ শতাংশ, কারণ কী?

 

প্রকল্প এলাকায় সুযোগ সুবিধার মধ্যে থাকছে ৩ লাখ মিটারের বেশি রাস্তা। প্রায় ৩০ হাজার মিটার ড্রেনেজ ব্যবস্থা। অফিস ও আবাসিক মিলিয়ে ১০টি ভবন থাকছে। এছাড়াও থাকছে হেলিপ্যাড ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা। দ্রুত গতিতে কাজ এগিয়ে চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মো. সাইফুল্লাহ পান্না বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে দৃশ্যমান হবে পটুয়াখালীর রফতানিমুখী প্রকল্প ইপিজেডের কাজ। বালু ভরাট শেষে বিনিয়োগকারীদের মাঝে দেয়া হবে প্লট বরাদ্দ। প্রকল্প ঘিরে নানা স্বপ্ন দেখছেন এখানকার মানুষ। এটি বাস্তবায়িত হলে খুলে যাবে উপকূলীয় মানুষের অর্থনীতির চাকা। ২০২৬ সালের শুরুতে বিনিয়োগকারীদের জন্য প্লট বরাদ্দ করবে বলে আশা করা হচ্ছে। খুব দ্রুতগতিতে চলছে ইপিজেডের নির্মাণ কাজ।

 

ইপিজেডে প্লট পেতে ইতোমধ্যে উদ্যোক্তারা আগ্রহ প্রকাশ করছেন। তাদের দাবি, ইপিজেডে জ্বালানিসহ বিনিয়োগের সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। না হলে এর সুফল পাবেন না উদ্যোক্তারা।

 

আরও পড়ুন: বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবৃদ্ধিতে ভাটা, আগ্রহ হারাচ্ছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও

 

প্রকল্প সম্পন্ন হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২ লাখ কর্মসংস্থানের আশা করা হচ্ছে। এছাড়া প্রকল্পটিকে ঘিরে বাসাভাড়া, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দা আবুল বাসার বলেন, এলাকার অনেক ছেলে-মেয়ে বেকার অবস্থায় আছে, এটি চালু হলে আশা করি তাদের কর্মসংস্থান হবে।

 

প্রকল্পে জমিদাতা ১২৬ পরিবারের জন্য নির্মাণ হবে আশ্রয়ণ এলাকা। যেখানে পানি, স্যানিটেশন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ থাকবে আধুনিক সুযোগ সুবিধা।

 

উল্লেখ্য, পটুয়াখালী ইপিজেডে ৩০৬টি শিল্প প্লট থাকবে এবং এটি ১,৪৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে। এর মধ্যে ১ হাজার ১০৫ কোটি টাকা আসবে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে, আর ৩৩৮ কোটি টাকা অর্থায়ন করবে বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ । ইপিজেড পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের পাঁচকোরালিয়া গ্রামে ৪১০.৭৮ একর জমিতে বিস্তৃত। এছাড়াও একই প্রকল্পের আওতায় কুয়াকাটায় ২.২৫ একর জমিতে একটি বিনিয়োগকারী ক্লাব স্থাপন করা হচ্ছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন