অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক উথোয়াইমং মারমা। এসময় প্রধান অতিথি উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার।
আরও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মামুনুর রশিদ (মামুন), জেলা পরিষদ সদস্য ক্যওসিংমং মারমা, কাপ্তাই উপজেলা বিএনপির সভাপতি লোকমান আহমেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি জাফর আহমেদ স্বপন, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মামুন প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বৈসাবি উৎসবে মাতোয়ারা কাপ্তাই পাহাড়
প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি ফিতা কেটে সাংগ্রাইয়ের মূল আকর্ষণ পানি খেলা বা জলকেলি উৎসবের উদ্বোধন করেন। এরপর শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী পানি খেলা। এতে মূলত অবিবাহিত তরুণ-তরুণীরা একে অপরকে পানি ছিটিয়ে ভিজিয়ে দেয়। এর মধ্যদিয়ে বিগত বছরের সব পাপ ও জরাজীর্ণ ধুয়ে-মুছে যায় বলে তাদের বিশ্বাস।
একদিকে তরুণী অপরদিকে তরুণরা মুখোমুখি হয়ে দাঁড়ায়। ছোট ছোট ডিঙি নৌকায় পানি ভর্তি করে রাখা হয়। এরপর বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে চলে পরস্পকে পানি ছিটানো। এভাবে এক দলের খেলা শেষে আরেক দল খেলা শুরু হয়। জলকেলি উৎসবের মাধ্যমে মারমা তরুণ-তরুণীদের একে-অন্যের সান্নিধ্যে আসার সুযোগ হয়। এসময় তারা তাদের প্রিয় মানুষটিকে বেছে নেওয়ার কাজটিও সফলভাবে সেরে নেন। সাংগ্রাই উৎসবের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পানি খেলা দেখার জন্য হাজার হাজার নারী-পুরুষ, শিশু-কিশোর উৎসবস্থলে সমবেত হন।
আরও পড়ুন: বৈসাবি উপহার পেলেন ৩ হাজার ভিডিপি সদস্য
সাংগ্রাই মূলত মারমাদের উৎসব হলেও এর সঙ্গে পার্বত্য জেলার বিভিন্ন জনগোষ্ঠী এমনকি বাঙালিরাও এতে যোগ দেয়। ফলে এটি আর মারমাদের মধ্যেই উৎসাহিত বাড়ে। সাংগ্রাই উৎসব পরিণত হয় পাহাড়ি-বাঙালির মিলনমেলায়।