নড়াইলে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

২ দিন আগে
নড়াইলে হামিদা বেগমকে হত্যার দায়ে তার স্বামী ইব্রাহিম মোল্যাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তবে রায় ঘোষণার সময় আসামি জামিনে মুক্ত হয়ে পলাতক ছিলেন।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শাহিনুর রহমান এ আদেশ দেন।


দণ্ডপ্রাপ্ত ইব্রাহিম মোল্যা নড়াইল সদরের মাগুরা গ্রামের আ. জব্বার মোল্যার ছেলে।


জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট কাজী জিয়াউর রহমান জিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


মামলার বিবরণে জানা যায়, মামলা দায়েরের আনুমানিক প্রায় ২২ থেকে ২৩ বছর আগে সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের হামিদা বেগমকে বিয়ে করেন ইব্রাহিম মোল্যা। সংসার জীবনে তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে ছিল। ২০০৭ সালের দিকে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ইব্রাহীম ও তার পরিবারের লোকজন হামিদা ও তার মেয়েকে মারধর করে। এ ঘটনায়  তখন থানায় মামলা হলে আসামিরা হামিদাকে বিভিন্ন সময়ে অত্যাচার করেন। এরই মধ্যে ইব্রাহিম মোল্যা লোহাগড়া উপজেলার ইতনা গ্রামে কুলসুম নামে এক নারীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। হামিদার বাবার বাড়ির লোকজন তার বড় ছেলেকে বিদেশে পাঠায়। ছেলে তার নামে টাকা পাঠালে ইব্রাহীম সেই টাকার জন্য হামিদাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন।


আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ


২০০৯ সালের ৮ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশে গরু বাঁধতে গিয়ে নিখোঁজ হন হামিদা। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার পরিবার কোনো সন্ধান পায়নি। ঘটনার ২ দিন পর অর্থাৎ ১০ জুলাই সকালে ইব্রাহীমের দ্বিতীয় স্ত্রী কুলসুম বেগম বাড়ির পাশের কাজলা নদীতে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় হামিদার মরদেহ দেখতে পায়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ওইদিন নিহতের ভাই রেজাউল নড়াইল সদর থানায় বাদী হয়ে ইব্রাহিমসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।


দীর্ঘ বিচারক প্রক্রিয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায়ের ধার্য দিনে আদালত ইব্রাহিম মোল্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত  হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন আদালত।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন