বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শারমিন নিগার এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এস এম আব্দুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত হৃদয় বৈরাগী সদর উপজেলার বীর গ্রামের দিলীপ বৈরাগীর ছেলে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে প্রতিপক্ষের বাড়ির পেছনে মিলল হত্যা মামলার আসামির মরদেহ
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর দুপুরে প্রতিদিনের মতো হৃত্তিকা বৈরাগী তার কাকা দিলীপ বৈরাগীর বাড়িতে খেলতে যায়। সেদিন রাতে বাড়িতে না ফেরায় খোঁজাখুঁজির পর পরদিন দুপুরে বাড়ির পাশের পুকুরপাড়ে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরিবার জানতে পারে, হৃত্তিকা খেলার ছলে ঘরে ঢোকার পর চাচাতো ভাই হৃদয় বৈরাগী তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে মরদেহ পুকুরপাড়ে ফেলে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরদিন ৩০ ডিসেম্বর নিহত শিশুর বাবা দশরথ বৈরাগী বাদী হয়ে হৃদয় বৈরাগীকে একমাত্র আসামি করে নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন।
দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে সাক্ষ্য-প্রমাণে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত বুধবার এ রায় দেন।
]]>