নড়াইলে অবৈধ কয়লা-ইটভাটা ধ্বংস, জরিমানা

২ সপ্তাহ আগে
নড়াইল সদরে আইন অমান্য করে গড়ে তোলা কয়লা ও ইটভাটা বন্ধে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর। এসময় কয়লা ভাটা ও ইটভাটা ধ্বংসের পাশাপাশি জরিমানাও করা হয়।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে সদরের বাধাল গ্রাম ও নাওরা গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় ঘোষ। 


সরেজমিনে দেখা যায়, বাধাল গ্রামে বসতি পূর্ণ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে গাছ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করছেন, ঘটনার সত্যতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ভেঙে দেয়া হয় ভাটার নয়টি চুল্লী ও চারটি চিমনি। একইসঙ্গে মালিক ওবায়দুর খন্দকার ওরফ শিবুকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

আরও পড়ুন: পিরোজপুরে এমদাদুল ফরাজী হত্যা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

পরে পাশের নাওরা গ্রামে তিহাম ব্রিকস নামে অবৈধ একটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে তার চিমনি ভাঙা হয়। মালিক মহব্বত হোসেনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় পরিবেশে অধিদপ্তরের জেলা সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক মিয়া, সেনাবাহিনী, নড়াইল সদর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা অভিযানে সহযোগিতা করেন।


জনবসতিপূর্ণ এলাকায় গড়ে তোলা কয়লা ভাটা ও ইটভাটার কারণে ভোগান্তিতে এলাকাবাসী। ফসলি ক্ষতি ছাড়াও  শ্বাসকষ্টসহ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু থেকে বৃদ্ধ। এগুলো ধ্বংসের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান তারা৷ পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, জেলায় ইটভাটা রয়েছে ৬৩টি, যার মধ্যে পরিবেশের ছাড়পত্র রয়েছে মাত্র পাঁচটির।

আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে ৪ ইটভাটাকে ২৪ লাখ টাকা জরিমানা

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় ঘোষ সময় সংবাদকে বলেন,  ‘আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক পরিবেশ দূষণকারী ইটভাটাগুলো বন্ধ করা হচ্ছে। পরিবেশ রক্ষায় আমরা বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করা একটি ভাটা গুড়িয়ে দিয়েছি। একই সঙ্গে তাদের ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছি। পরে আরেকটি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে চিমনি ভাঙা হয়েছে। পাশাপাশি আরও ২০ হাজার টাকা জরিমানা  করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন