নেত্রকোনায় রাইস মিলের আড়ালে অবৈধভাবে তৈরি হতো খাদ্যপণ্য

৩ দিন আগে
নেত্রকোনায় অবৈধভাবে খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের অভিযোগে একটি কারখানায় অভিযান চালিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ১৫ ধরনের নকল পণ্য জব্দের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল হাসান।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে নেত্রকোনা সদর উপজেলার বালুয়াকান্দা আবু তাহেরের রাইস মিলে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।


স্থানীয়রা জানান, রাইস মিল মালিক মোহাম্মদ আবু তাহের মিয়া কেন্দুয়া উপজেলার মো. কামরুজ্জামানের কাছে গোডাউন ভাড়া দেন। এর আড়ালেই কামরুজ্জামান বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির পণ্য নকল করে অবৈধভাবে বিভিন্ন কেমিকেল এবং ক্ষতিকারক রং ব্যবহার করে পণ্য তৈরি করে বিক্রি করে আসছেন।


কারখানাটিতে মূলত শিশুখাদ্যের মধ্যে বিভিন্ন জুস, লাচ্ছি, লিচি ড্রিঙ্ক, আচার, কাপড় ধোয়ার পাউডার, সরিষার তেল, চা পাতা, শ্যাম্পু, টুথ পাউডার সহ সর্বমোট ১৫ প্রকার পণ্য জব্দ করা হয়। এছাড়াও জুস প্রক্রিয়াজাতকরণের বিভিন্ন সাইজের কয়েক হাজার বোতল ও বিভিন্ন কোম্পানির নামে লেভেল জব্দ করা হয়েছে। এসব জব্দ পণ্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল কবিরের জিম্মায় রেখে প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করে প্রশাসন।


আরও পড়ুন: ভেজাল খাদ্যপণ্যের কারখানায় র‌্যাবের অভিযান, দেড় লাখ টাকা জরিমানা


এ ব্যাপারে অভিযানিক টিমের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সদরের সহকারী কমিশনার ভূমি) হাসিব উল আহসান বলেন, ‘আমরা সেখানে কাউকেই পাইনি। তবে নকল মালামালগুলো জব্দ করে কাইলাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল কবিরের জিম্মায় রেখেছি। এছাড়া কারখানাটি সিলগালা করা হয়েছে। মিলে পাওয়া কারখানার একটি চুক্তি কাগজে আবু তাহেরের নাম পেয়েছি। তার কাছ থেকে মো. কামরুজ্জামান এটি ভাড়া নিয়েছিলেন। আমরা ওই কারখানার মালিকের নাম ঠিকানা বের করে তাকে নোটিশ প্রদান করবো। তিনি যাবতীয় কাগজপত্র দেখানোর জন্য না এলে বা সঠিক কাগজ দেখাতে না পারলে আইন অনুযায়ী মামলা দেয়া হবে। সেইসঙ্গে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন