ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সম্প্রতি পাল্টাপাল্টি বক্তব্য এসেছে তেহরান-ওয়াশিংটনের তরফ থেকে। দেশটিকে পারমাণবিক অস্ত্র থেকে বঞ্চিত রাখতে কূটনীতিকে প্রাধান্য দেয়ার যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
১২ দিনের যুদ্ধের পর পরমাণু ইস্যুতে নতুন করে আলোচনা শুরুর প্রস্তাব দিয়েছে। তবে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা সেই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ট্রাম্প পরমাণু স্থাপনা ধ্বংসের যে দাবি করে আসছেন, তাও অস্বীকার করেছেন তিনি।
এবার যুক্তরাষ্ট্রকে একহাত নিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। বুধবার (২২ অক্টোবর) মাশহাদে সাংবাদিকদের আরাঘচি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অযৌক্তিক ও অতিরিক্ত দাবির কারণেই আগের পাঁচ দফা পরোক্ষ পারমাণবিক আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ত্রাণ প্রবেশ নিশ্চিত করতে ইসরাইল বাধ্য: আইসিজে
তিনি সাফ জানান, যতদিন যুক্তরাষ্ট্র পারস্পরিক স্বার্থ ও সমমর্যাদার ভিত্তিতে আলোচনায় রাজি না হবে, ততদিন ইরান কোনো নতুন উদ্যোগে অংশ নেবে না। যদিও আরাঘচি নিশ্চিত করেন, তেহরান এখনও মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে বার্তা বিনিময় করছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের ক্রমাগত চাপের মুখে নতুন মিত্র খুঁজছে ইরান। এরই ধারাবাহিকতায় আঞ্চলিক মিত্র ইরাকের কাছ থেকে দ্বিপক্ষীয় নিরাপত্তা চুক্তি সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে তেহরান।
বুধবার ইরাকের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা কাসিম আল আরাজি তেহরানে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অফ স্টাফ মেজর জেনারেল মুসাভির সঙ্গে বৈঠকে এই অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। আরাজি জোর দিয়ে বলেছেন, কোনো দেশকেই ইরাকের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ইরানের নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করতে দেয়া হবে না।
আরও পড়ুন: ইসরাইলের ওপর নিষেধাজ্ঞার আহ্বান খ্যাতিমান ইহুদিদের
ইরান-ইরাক সম্পর্কের দিকে নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্রও। ইরাকের ভূখণ্ডে থাকা ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো বাগদাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করে মার্কিন প্রশাসন। এ ধরনের গোষ্ঠীর নিরস্ত্রীকরণে ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
]]>
৪ সপ্তাহ আগে
৪







Bengali (BD) ·
English (US) ·