নির্বাচনের জন্য চাপ অভ্যুত্থানে শহীদদের রক্তের সঙ্গে গাদ্দারীর সমতূল্য

২ সপ্তাহ আগে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনূস আহমাদ বলেছেন, মুক্তি, সাম্য, সুশাসন ও সমৃদ্ধির জন্য এই অঞ্চলের মানুষ ৪৭ ও ৭১ এ দুই দফা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছে। ৯০তে স্বৈরাচার উৎখাত করেছে। তারপরেও দেশে হাসিনার মতো স্বৈরাচার তৈরি হয়েছিল রাজনৈতিক সংস্কৃতি, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর দুর্বলতা ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভঙ্গুরতার কারণে। ফলে আগামীর বাংলাদেশে নতুন স্বৈরাচারের পথ রুদ্ধ করতে সংস্কার অপরিহার্য। সংস্কারকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কোন কিছুই দেশবাসীর পক্ষে সহ্য করা সম্ভব না।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেন, হাসিনার মতো স্বৈরাচারের সূচনাও হয়েছিল একটি নির্বাচনের মাধ্যমে। পতিত ফ্যাসিবাদও তিনটা নির্বাচন করেছে। তারপরেও জাতিকে ২৪ এ রক্ত উৎসর্গ করতে হয়েছে। এর অর্থ হলো, নির্বাচনই সমাধান না। বরং সংস্কারহীন নির্বাচন আরেকটি স্বৈরচার প্রতিষ্ঠার সুযোগ করে দেবে। সেকারণে ইসলামী আন্দোলন পরিষ্কার করে বারংবার দাবি জানাচ্ছে যে, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করেই নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।


অধ্যক্ষ ইউনূস আহমাদ বলেন, সাম্প্রতিক নির্বাচন নিয়ে যেভাবে রাজনৈতিক চাপ তৈরি করা হচ্ছে তাতে সংস্কার বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। রাজনৈতিক চাপে সংস্কারকে অসম্পন্ন রেখে নির্বাচন আয়োজন করলে শতশত শহীদের রক্তের সঙ্গে গাদ্দারি করা হবে। অভ্যুত্থানে আহতরা এখনও হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে। তাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে।


আরও পড়ুন: শিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন, জড়িতদের বিচার চাইল ইসলামী আন্দোলন


মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলেন, এই সরকার একটি অভ্যুত্থানের উত্তরাধিকার বহন করছে। ফলে সেই অভ্যুত্থানের দাবি ও চেতনা বাস্তবায়ন করা তাদের দায়িত্ব। আজকে যারা সংস্কারকে গৌণ করে নির্বাচনের জিগির তুলেছে; ২৪ এর অভ্যুত্থানে তাদের অবদান স্বীকার করার পরেও বলতে হবে, ২৪ এ সাধারণ ছাত্র-জনতা এবং ক্ষমতার বাইরে থাকা রাজনৈতিক শক্তির অবদানই ছিল প্রধান ও মুখ্য। ফলে এখন ক্ষমতাকেন্দ্রীক দলগুলোর চাপে অভ্যুত্থানের প্রধান ধারার চিন্তা ও চেতনাকে জলাঞ্জলি দিলে ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না। তাই নির্বাচন নয় বরং সংস্কারকে মুখ্য করেই সরকারকে তাদের রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে।


নির্বাচন নিয়ে চাপ তৈরি করা দলসমূহের প্রতি আহ্বান রেখে তিনি বলেন, আপনার দলের নেতৃত্ব বাছাই প্রক্রিয়ায় নির্বাচন আয়োজন করে দেখুন। তাতেই দেখা যাবে রাজনৈতিক হানাহানি ও সহিংসতা কি তীব্র ও হিংস্র আকারে এখনও বিরাজমান। এই বাস্তবতায় জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করে দেশকে আবারও সহিংস ও হিংস্র রাজনীতির মধ্যে ঠেলে দেয়ার জন্য ২৪ এ ছাত্র জনতা রক্ত দেয় নাই।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন