শনিবার (২৫ অক্টোবর) দলটির মাসিক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের অর্থ হলো নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিবর্গের মানসিকতা নিরপেক্ষ থাকা এবং কার্যক্রমে তার প্রতিফলন থাকা। মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের মানসিকতা গঠন হয় সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির ওপরে। তাই নির্বাচনকালীন সরকারের সব দলের সঙ্গে সমান আচরণ করা উচিত। কিন্তু বর্তমান সরকারের কার্যক্রম এই বিষয়ে হতাশাজনক। সরকার নির্দিষ্ট কিছু দলের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করে যাচ্ছে।
সৈয়দ মো. রেজাউল করীম বলেন, লন্ডনে বিশেষ একটি দলের সঙ্গে বৈঠক করা, জাতিসংঘের বৈঠকে তিনটি দলকে নিয়ে যাওয়া, সাম্প্রতিক তিনটি দলকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়ার মাধ্যমে সারা দেশে এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিশেষ ধারণা দেয়া হচ্ছে। এটা নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মাঠ কর্মকর্তাদের পক্ষপাতমূলক আচরণ উৎসাহিত করবে। আগামী নির্বাচনে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আগামী নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে গণভোট না দিলে সারা দেশে আন্দোলন: জামায়াত
চরমোনাই পীর বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই দল নিরপেক্ষ আচরণ করতে হবে। দেশ নিয়ে অব্যাহত ষড়যন্ত্র চলছে। সম্প্রতি ধারাবাহিক অগ্নিকাণ্ড, ধর্ম বিষয়ক উসকানি দেয়ার মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। এই বিষয়ে সরকারকে সতর্ক আচরণ করতে হবে, বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত করে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়ে এখনো কোনো সুরাহা হয়নি। দ্রুততার সঙ্গে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিশ্চিত করতে হবে। তাফসিলের আগে গণভোট দিতে হবে। গণহত্যার বিচার করতে হবে। ফ্যাসিবাদের দোষরদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে নৈতিকতাবিহীন শিক্ষা প্রসারের অভিযোগ পরওয়ারের
নিয়মিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, হাফেজ মাওলানা ফজলে বারী মাসউদ, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ইফতেখার তারিক, প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলুল করীম মারুফ, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নুরুল করীম আকরাম, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুফতী কেফায়েতুল্লাহ কাশফী, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলাওয়ার হোসেন সাকী, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী মোস্তফা কামাল, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম রুহুল আমীন, সহ-প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা কেএম শরীয়াতুল্লাহ, সহ-অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক নাছির উদ্দিন খাঁন, কেন্দ্রীয় সদস্য আমিনুল ইসলাম, মুফতী শামসুদ্দোহা আশরাফী, সদস্য ডা. শহিদুল ইসলাম, আল মুহাম্মদ ইকবাল।
]]>
৩ সপ্তাহ আগে
৫







Bengali (BD) ·
English (US) ·