নির্বাচনে এককভাবে অংশ নেবে গণঅধিকার পরিষদ: নুরুল হক

২ সপ্তাহ আগে
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরু বলেছেন, এখন পর্যন্ত আমরা কোনো রাজনীতি জোট করি নাই। গণধিকার পরিষদ এককভাবে ট্রাক-প্রতীকে সারা দেশে আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে।‌

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাদুঘর এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে জুলাই বিপ্লব ও নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জন আকাঙ্ক্ষার রাজনীতি শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।


নূর বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করতে হবে। তাহলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বার, মেয়র সরকারকে সহযোগিতা করতে পারবে।’


তিনি বলেন, ‘গত ৫০ বছরে দুর্নীতিবাজ লুটেরা, মাফিয়ারা রাজনীতিকে যেভাবে গ্রাস করেছে, আজকে ডাকসু চাকসুসহ সব কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি ছাত্র রাজনীতি এবং ছাত্র সংসদের নির্বাচন দেওয়া হয়, তাহলে পরিচ্ছন্ন তরুণ নেতৃত্ব বের হয়ে আসবে। তিনি অনতিবিলম্বে ডাকসু -চাকসুসহ সব কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান। পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দিকে যেন যান। এ দুই নির্বাচনের পরে জাতীয় নির্বাচন হতে হবে। ইতিহাসের সেরা নির্বাচন হবে, যদি এ সরকার স্থানীয় নির্বাচন করতে পারে।’ 

আরও পড়ুন: হতাহতদের সহায়তায় ব্যর্থ হলে উপদেষ্টাদের মন্ত্রণালয়ে ঢুকতে দেয়া হবে না: নুর


বিগত সময়ের ইতিহাস তুলে ধরে নূর বলেন, এই দলীয় সরকার অধীনে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে, সবখানে কেন্দ্র দখল, ব্যালট বাক্স সিলমারা, প্রতিদ্বন্দ্বী  প্রার্থীদের মাথা ফাটিয়ে দেয়া, হামলা করা হয়েছে। তিনি সব দলকে স্থানীয় নির্বাচনের প্রশ্নে এক হওয়ার আহ্বান জানান।


তিনি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সতর্ক করে বলেন, ‘আপনারা যদি ভেবে থাকেন, কোনো বিশেষ দল ক্ষমতায় আসছে, তাদের সাথে খাতির করে তাদের নিয়ে কাজ করি। ভুল করবেন। কে ক্ষমতায় আসবে এটা এখনই কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না।’


তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার দলের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলছেন, আমরা ক্ষমতায় নাই বন্ধুগণ। আমরা ক্ষমতায় যাব কিনা জানি না। তাহলে অন্যরা কীভাবে বলে। আপনারা প্রশাসনের কর্মকর্তারা এখনই বৃষ্টি যেদিকে ছাতা সেদিকে ধরা শুরু করেছেন। এরকম একটা মনোভাব দেখাচ্ছেন এটা ঠিক না।’


নূর বলেন, ‘আজকে আমরা রাজনীতিবিদদের লুটপাট দুর্নীতি নিয়ে কথা বলছি। হাসিনার ফ্যাসিবাদের কথা বলছি। হাসিনার ফ্যাসিবাদী হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি এদেশের আমলাতন্ত্র এই প্রশাসন। এসপি বলেন ডিসি বলেন, তারা বহাল তবিয়তে আছে। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ যুবলীগ, দেশ ছাড়ছে। তাদের অনেকের নামে মামলা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন। কয়জন এসপি-ডিসি গ্রেফতার হয়েছেন। কয়জন ইউএনও ওসি গ্রেফতার হয়েছে। এই ওসি, ডিসি ইউএনও এসপিরা হাসিনার আকাম, কুকামের সহযোগী ছিল। হাসিনার বিচারের পাশাপাশি প্রশাসনের মধ্যেও যারা সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীদের মধ্যে যারা ফ্যাসিবাদের দোসর ছিলেন, ফ্যাসিবাদের সহযোগী ছিলেন, তাদেরকে ন্যূনতম বিচারক মুখোমুখি অবশ্যই করতে হবে।’

আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের প্রশ্নে কোনো আপস চলবে না: নুর

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, বাংলাদেশ আইনজীবী অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান, জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি সোহেল রানা রাফি, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মাসুম আহমেদ, জেলা শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি শিব্বির আহমেদ প্রমুখ।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন