বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
সৃষ্টি তুলি নামের ওই পাইলটের পরিবারের দাবি, তার প্রেমিক আদিত্য পণ্ডিত তাকে প্রায়ই জোর করে নিরামিষ খাওয়াতেন এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন।
মুম্বাইয়ের মারোল এলাকায় কানাকিয়া রেইন ফরেস্ট ভবনের একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন সৃষ্টি। গত সোমবার (২৫ নভেম্বর) ফ্ল্যাটে তার ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়। পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সৃষ্টি উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা হলেও পেশাগত কারণে গত বছরের জুন মাস থেকে মুম্বাইয়ে থাকছিলেন।
আরও পড়ুন: আত্মহত্যা করছেন গাজাফেরত অনেক ইসরাইলি সেনা, নেপথ্যে কী?
দুই বছর আগে দিল্লিতে একটি বাণিজ্যিক পাইলট কোর্স চলাকালীন আদিত্য পণ্ডিতের (২৭) সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে তাদের সম্পর্ক প্রেমে রূপ নেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত্যুর আগে সৃষ্টি ফোনে আদিত্য পণ্ডিতের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সেই সময় আদিত্য গাড়ি চালিয়ে দিল্লি যাচ্ছিলেন। পরে তিনি মুম্বাই ফিরে এসে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। সেখানে সৃষ্টিকে ডেটা ক্যাবলের মাধ্যমে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনো সুইসাইড নোট উদ্ধার করা যায়নি।
আরও পড়ুন: টার্গেট পূরণে অফিসের চাপ, কর্মীর ‘আত্মহত্যা’
সৃষ্টির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আদিত্য পণ্ডিতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৮ ধারায় (আত্মহত্যায় প্ররোচনা) মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতে হাজির করার পর আদিত্যকে চার দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে, এবং পুলিশ আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে।
]]>