নিম্নমানের আলুর বীজে সয়লাব বাজার, জনবল সংকটে নেই পদক্ষেপ!

৪ সপ্তাহ আগে
আগাম আলু চাষিদের লক্ষ্য করে এবারও সক্রিয় জয়পুরহাটের অসাধু বীজ আলু ব্যবসায়ীরা। তারা নিম্নমানের আলু উন্নত জাত বলে প্রতারণার ফাঁদে ফেলছেন বলে অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগীরা। প্রকাশ্যে বেচাকেনা হচ্ছে অনুমোদনহীন বীজ আলু। তারপরও জনবল সংকটের দোহাই দিয়ে নিরব থাকছে জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা। যদিও প্রত্যয়ন ট্যাগ ছাড়া বীজ না কেনার পরামর্শ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের।

জয়পুরহাট সদর উপজেলার ধুলাতর এলাকায় সিমেন্টের দোকানে আগাম আলুর বীজ বিক্রি করছেন ইব্রাহিম হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী। বীজগুলো ঠাকুরগাঁওয়ের দেবীগঞ্জ এলাকা থেকে নিয়ে এসে ব্র্যাকের বীজ হিসেবে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। একইভাবে আক্কেলপুর উপজেলার জামালগঞ্জ চারমাথা এলাকায় ওয়ার্কশপের দোকানে খাওতা আলু বীজ হিসেবে বিক্রি করছেন ফরিয়া ব্যবসায়ী মিলন হোসেন।

 

জেলার অনেক গ্রামেই বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সির ট্যাগ কিংবা কোন কোম্পানির সিল ছাড়াই যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে আলুর বীজ। মৌসুমভিত্তিক এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতি বছরই পুরো অক্টোবর মাস এভাবে বীজ বিক্রি করে থাকেন।

 

আর নিবন্ধিত বীজ বিক্রেতারা বলছেন, অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে প্রতারণা করছে চাষিদের সঙ্গে। তবে এর দায় এসে পড়ছে নিবন্ধিত বীজ বিক্রেতাদের ওপর।

 

আরও পড়ুন: বেঁধে দেয়া দামের বাস্তবায়ন নেই, আলু নিয়ে বিপাকে চাষি-হিমাগার মালিকরা

 

এদিকে চাষীদের দাবি, প্রতি বছরই নিম্নমানের বীজ কিনে ঠকতে হচ্ছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা বীজ বিক্রির কোনো রশিদও দিচ্ছে না।

 

জয়পুরহাট জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার মনজু আলম সরকার বলেন, অনুমোদনহীন বীজ আলো প্রকাশ্যে বেচাকেনা হলেও জনবল সংকটের কারণে কোন পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করতে চাষিদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

 

তবে প্রত্যায়ন ট্যাক্স ছাড়া বীজ না কেনার পরামর্শ দিচ্ছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। অতিরিক্ত উপ-পরিচালক লুৎফর রহমান বলেন, সরকারি বিডিসি থেকে চাষিরা বীজ সংগ্রহ করতে পারবেন। প্রাইভেট ফার্ম থেকেও কিছুটা সংগ্রহ করতে পারবেন।

 

উল্লেখ্য, জয়পুরহাট জেলায় চলতি বছর ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে আলু রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন