ঘরের মাঠে আর্লিং হলান্ডের জোড়া গোল এবং ইলকায় গুন্দোগানের গোলে ৫৩ মিনিটের মধ্যে ৩ গোলের লিড পেয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। ফলে টানা পাঁচ ম্যাচে হারের পর ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা দেখে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছিলেন কোচ পেপ গার্দিওলা। কিন্তু ৭৪ মিনিটে আনিস হজ-মৌসার গোল দিয়ে ফেইনুর্দ তাণ্ডব শুরু করে। ৮২ মিনিটে সান্তিয়াগো হিমিনেজ এবং ৮৯ মিনিটে ডেভিড হাঞ্চকোর গোলে সমতায় ফেরে ডাচ লিগের দলটি। শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয় ম্যানসিটি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এর আগের ম্যাচে ভিক্তর গেইকারেসের হ্যাটট্রিকে স্পোর্তিং লিসবন ম্যানসিটিকে ৪-১ গোলে হারিয়েছিল। প্রিমিয়ার লিগেও সবশেষ ম্যাচে টটেনহ্যাম হটস্পারের কাছে ৪-০ গোলে হেরেছে গার্দিওলার দল। ফেইনুর্দের বিপক্ষে ৩ গোলের লিড ধরে রাখতে না পেরে ম্যাচ ড্র করার পর আর হতাশা লুকাতে পারেননি সিটিজেনদের কোচ। ম্যাচ শেষে মাঠ ছাড়ার সময় চার চেহারায় আঁচড়ের ডাগ সাংবাদিক ও সমর্থকরা চোখ এড়ায়নি।
আরও পড়ুন: দর্শকদের দুয়ো শুনে যা বললেন গার্দিওলা
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের এমন হতাশাজনক ফলাফলের কারণ হিসেবে রক্ষণভাগের ভুলকেই দায়ী করেন গার্দিওলা। এরপরই এক সাংবাদিক তার চেহারায় ক্ষত, বিশেষ করে নাকের কাটা দাগের বিষয়টি ধরিয়ে দেন। তবে সেই প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই স্প্যানিশ কোচ বলেন, 'হ্যাঁ, আমিই এটা করেছি আঙুল দিয়ে, এখানে করেছি নখ দিয়ে। হ্যাঁ, আমি আমাকে ধংস করে দিতে চাই। শুভরাত, সব ঠিক হয়ে যাবে।'
তার এমন বক্তব্য বিভিন্ন সংগঠন বিশেষ করে যারা মানসিক স্বাস্থ্যগত বিষয় নিয়ে তরুণদের মধ্যে কাজ করে থাকে, তারা ভালোভাবে নেয়নি। যে কারণে এই কোচ আজ সকালেই সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। ইনস্টাগ্রামে স্টোরিতে তিনি জানান, 'গত রাতে সংবাদ সম্মেলনের শেষ দিকে একটা প্রশ্ন শুনে আমি অবাক হয়েছিলাম, আমার চেহারায় থাকা কাটা দাগ নিয়ে এবং আমি ব্যাখ্যা করেছিলাম যে, ধারালো নখ দিয়ে অসাবধানতা বশত এটা হয়েছে।'
আরও পড়ুন: মারাত্মক অভিযোগ এনে বসুন্ধরা কিংস ছাড়ার ঘোষণা ব্রাজিলিয়ানের
তিনি যোগ করেন, 'আমার প্রতিক্রিয়া কোনোভাবেই নিজেকে আঘাত করার মতো মারাত্মক বিষয়কে ছোট করে দেখানোর জন্য ছিল না। আমি জানি, অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন মানসিক স্বাস্থ্যগত নানান সমস্যায় ভুগছে এবং আমি এই মুহূর্তে একটি রাস্তা সকলের দৃষ্টগোচর করতে চাই, যেন তারা সাহায্য চাইতে পারে।'
পেপ তার বক্তব্যে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা সামারিটানস হটলাইন নামের একটি সংস্থার ফোন নম্বর এবং ইমেইল শেয়ার করেন, যেন প্রয়োজনে যে কেউ সাহায্য চাইতে পারে।
ম্যানচেস্টার সিটির পরবর্তী ম্যাচ আগামী রোববার (১ ডিসেম্বর) লিভারপুলের বিপক্ষে।