রোববার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
নিহত জান্নাতুল ফেরদাউস বাগেরহাট জেলার চিতলমারি উপজেলার শৈলদাহ গ্রামের গোলাম মোস্তাফার মেয়ে এবং উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের রামভদ্রা গ্রামের মো. ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী।
নিহতের মা পারভীন বেগমের অভিযোগ, তার মেয়েকে হত্যা করে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, আড়াই বছর আগে ইসমাইলের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় স্বামীর পরিবারের চাহিদা মতো যৌতুক দেয়া হয়। কিন্তু বিয়ের পরে বিভিন্ন সময় স্বামী তাকে যৌতুকের দাবিতে মারধর করতো। এবং পরিবারের লোকজন বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতো। এরই ধারাবাহিকতায় তাকে হত্যা করে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রোববার রাতে তাকে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বামীর নামে মামলা
নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার শিপন পাল বলেন, ‘তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিলো।’
নিহতের স্বামী ইসমাইল হোসেন জানান, তার স্ত্রী নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তাকে ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় পেয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছিলো।
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদ আল ফরিদ জানান, এ ঘটনার অভিযোগে গৃহবধূর স্বামীকে আটক করা হয়েছে। আর মরদেহ ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।