বুধবার (১৪ মে) রাত সাড়ে ১০টায় স্থানীয় মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে সড়াতৈল কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার সন্ধ্যায় সাম্যের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এ সময় তৈরি হয় এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের। কান্নায় ভেঙে পড়েন সাম্যের স্বজন, এলাকাবাসী ও সহপাঠীরা। তাকে এক নজর দেখতে ছুটে আসেন সবাই।
চার ভাইয়ের মধ্যে সাম্য ছিলেন সবার ছোট। আর পরিবারের আদরের ছোট সন্তানকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ পরিবারের সদস্যরা। তার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা। বলেন, এমন হত্যাকাণ্ডের যেন পুনরাবৃত্তি না হয়। আর কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়।
এদিকে, এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তার সহপাঠী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুন: সাম্য হত্যা: আসামির বাড়ি পুড়িয়ে দিলো স্থানীয়রা
গত মঙ্গলবার রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কালীমন্দির গেটের সামনে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন সাম্য। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এদের একজন তামিম হাওলাদারের গ্রামে বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা।
সাম্য ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ছাত্র ছিলেন। এছাড়া তিনি স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদকও ছিলেন।
]]>