মঙ্গলবার (১১ই নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দুই দেশের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষে ট্রাভেল পারমিটে শান্তনাকে তার ছেলে ও বোনের হাতে তুলে দেয়া হয়। এই সময় দুই দেশের সীমান্ত কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় দফতরের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এসময় শান্তনাকে দেখতে উৎসুক মানুষ ভিড় জমায়।
জানা গেছে, শান্তনার বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাস্তিপুর গ্রামে। তার বিয়ে হয়েছিল ২০০০ সালে। স্বামী সেকেন্দার আলী মুহুরি পেশায় কর্মরত ছিলেন। তাদের চার সন্তানও ছিল।
আরও পড়ুন: নিখোঁজ বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাকে পাওয়া গেলো মাদারীপুরের আবাসিক হোটেলে
শান্তনার ছেলে সোহাগ জানান, ‘মা মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। প্রায় ১২ বছর আগে নিখোঁজ হন। একসময় জানতে পেরেছি সীমান্ত পেরিয়ে তিনি ভারতে ঢুকে পড়েছেন। পরে পুলিশের হাতে আটকের পর দীর্ঘদিন তিনি ভারতের কানপুরের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলেন। তবে গত বছরের ১৭ই জুলাই খোঁজ পাওয়া যায় পশ্চিমবঙ্গের বেসরকারি সংস্থা ‘ঈশ্বর সংকল্প’ এর সমন্বয়ক তপন প্রধানের মাধ্যমে। বাংলাদেশি সংবাদকর্মী ও ফটো সাংবাদিক শামসুল হুদা দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার মাধ্যমে মাকে আমাদের কাছে পৌঁছে দিতে সহযোগিতা করেছেন।’
এদিকে শান্তনার দেশে প্রত্যাবর্তন তার পরিবারসহ এলাকার মানুষের জন্য আনন্দের সংবাদ বয়ে এনেছে। শান্তনা সীমান্ত পার হয়ে দেশের মাটিতে পা রাখলে তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে আনন্দে অশ্রু ঝরান স্বজনেরা।
বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের উপ পরিদর্শক(এসআই) খাইরুল ইসলাম জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে শান্তনাকে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামে একটি মানবাধিকার সংস্থার হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। তারা শান্তনাকে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেবেন।
]]>
২ সপ্তাহ আগে
৫






Bengali (BD) ·
English (US) ·