নিউইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে মামলার হুঁশিয়ারি ইলন মাস্কের

৩ সপ্তাহ আগে
চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্ভাব্য যুদ্ধের পরিকল্পনার বিষয়ে জানাতে মাস্কের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারা। সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসে প্রচারিত এমন প্রতিবেদনকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন ইলন মাস্ক। বানোয়াট সংবাদ প্রচার করায় সংবাদমাধ্যমটির বিরুদ্ধে মামলার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।

একইসঙ্গে পেন্টাগনের কোন কর্মকর্তা এমন ভুয়া তথ্য সরবরাহ করেছে কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানিয়েছেন। মাস্কের এমন বার্তার পর গোপনীয়তা রক্ষায় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন শুরু করেছেন ফেডারেল কর্মীরা।

 

শুক্রবার (২১ মার্চ) মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পেট হেগসেথসহ পেন্টাগনের সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইলন মাস্ক। তার এই বৈঠক ঘিরে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। 

 

বৈঠকের একদিন আগে বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে দাবি কর হয়, চীনের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য যুদ্ধের জন্য মার্কিন সামরিক বাহিনীর পরিকল্পনার বিষয়ে মাস্ককে অবহিত করবেন কর্মকর্তারা।

 

আরও পড়ুন: রাজনীতিতে সক্রিয় হচ্ছেন বাইডেন, ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ডেমোক্র্যাটরা?

 

এমন খবর নিয়ে বেজায় চটে যান মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। তার দাবি, এ তথ্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। পেন্টাগনে বৈঠকে চীন নিয়ে কোনো কথা বলা বা আলোচনা হয়নি বলে জানান তিনি।

 

মাস্ক সতর্ক করে আরও বলেন, প্রতিরক্ষা দফতরের কোন কর্মকর্তা এমন ভুয়া তথ্য সরবরাহ করেছে কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি নিউইয়র্ক টাইমস এমন প্রতিবেদন প্রচার করায় সংবাদ মাধ্যমটির বিরুদ্ধে মামলার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।

 

এক এক্স বার্তায় ইলন বলেন, ‘পেন্টাগনের যারা নিউইয়র্ক টাইমসের কাছে বিদ্বেষপূর্ণভাবে মিথ্যা তথ্য ফাঁস করছে, তাদের বিচারের জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। তাদের খুঁজে বের করা হবে।’ 

 

ইলন মাস্কের এ কথায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের একজন মুখপাত্র বলেন, তথ্য ফাঁস তদন্তের উদ্দেশ্য ‘সাংবাদিক ও তাদের তথ্যদাতাদের মধ্যে যোগাযোগকে ভয় দেখানো এবং মুক্ত সংবাদমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করার ক্ষমতাকে ক্ষুণ্ণ করা।’

 

আরও পড়ুন: ভারত সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে ইলন মাস্কের এক্স

 

এদিকে পেন্টাগনে মাস্কের বৈঠকের এমন খবর প্রকাশের পর বেশ বিরক্তি প্রকাশ করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও। সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালের এক পোস্টে তিনি বলেন, ওয়াশিংটন-বেইজিংয়ের যুদ্ধের বিষয়ে কোন আলোচনা হয়নি।

 

আর মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ জানান, বৈঠকে মাস্কের সঙ্গে উদ্ভাবন ও দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, কোনো যুদ্ধ পরিকল্পনা নিয়ে নয়। তার কথায়, ‘কোনো যুদ্ধ পরিকল্পনা ছিল না, চীনের কোন যুদ্ধ পরিকল্পনা ছিল না। কোন গোপন পরিকল্পনা ছিল না।’

 

তবে এই ঘটনায় ফাঁস হওয়া তথ্যের কারণে উদ্বেগ ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে সরকারি কর্মীদের মাঝে। মাস্কের হুমকির পর কিছু কর্মী গোপনীয়তা রক্ষা করতে এবং স্বচ্ছতা বজায় রাখতে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন। তাই যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে গোপন বার্তা ও ব্যক্তিগত ডিভাইস ব্যবহার করছেন তারা।

 

আরও পড়ুন: ফেডারেল বিচারকদের ক্ষমতা কেড়ে নিতে চান ট্রাম্প

 

চীনের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে ইলন মাস্কের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন খবর প্রচার হওয়ায় সে সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।  

 

তথ্যসূত্র: রয়টার্স ও ইউএসএ টুডে

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন