নাসিরের ফিফটিতে জিতলো রংপুর, তিন দিনেই চট্টগ্রামকে হারালো সিলেট

২ দিন আগে
মাত্র তিন দিনেই শেষ হয়েছে জাতীয় ক্রিকেট লিগের পঞ্চম রাউন্ডের দুটি ম্যাচ। রাজশাহীতে ১৩০ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৫৯ রানেই ৫ উইকেট হারায় রংপুর। সেখান থেকে তানভীর হায়দারের সঙ্গে ৭৩ রানের জুটি গড়ে দলকে জেতান নাসির। দিনের আরেক ম্যাচে চট্টগ্রামকে ১৪৭ রানের ব্যবধানে হারায় সিলেট।

নাসিরের ফিফটিতে জিতেছে রংপুর: 

 

সোমবার (২৪ নভেম্বর) কোনো উইকেটে না হারিয়ে ১২ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে রাজশাহী। এদিন ওপেনিং জুটি থেকে আসে ৪৮ রান। এরপর রবিউল হক, মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ এবং মেহেদী হাসানের অসাধারণ বোলিংয়ে ম্যাচের লাগাম টেনে ধরে রংপুর।  

 

৪১ বলে ৩২ রান করা নাঈম আহমেদকে বোল্ড করেন মেহেদী। এরপর রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন সাকিব শাহরিয়ার এবং প্রিতম কুমার। দলীয় ৮০ রানের মধ্যে বোল্ড হয়ে ফিরে যান সাব্বির রহমানও (১৩)। 

 

দলের হয়ে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সাব্বির হোসেন। শেষদিকে সানজামুল ইসলামের ব্যাটে আসে ২০ রান। রংপুরের হয়ে রবিউল ও মুগ্ধ নেন ৩টি করে উইকেট। মেহেদীর শিকার ৪ উইকেট। 

 

১৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৪ রানে চার এবং ৫৯ রানের মধ্যে পাঁচটি উইকেট হারায় রংপুর। মিম মোসাদ্দেক ১৮, নবিন ইসলামরা ১২ রানে ফিরলেও রংপুর মূলত জিতে নাসিরের ফিফটিতে। 

 

আরও পড়ুন: ফলো-অন না দিয়ে ব্যাটিংয়ে দ. আফ্রিকা, ভারতকে চাপে রেখে তৃতীয় দিন শেষ

 

৬৪ বলে ৫২ রানে অপরাজিত থাকেন নাসির। সঙ্গী তানভির হায়দার অপরাজিত থাকেন ৩৪ বলে ২৮ রানে। রাজশাহীর হয়ে ২টি করে উইকেট নেন আব্দুর রহিম এবং শফিকুল ইসলাম। সাব্বির হোসেনের শিকার ১ উইকেট। 

 

বরিশালের বিপক্ষে নড়বড়ে অবস্থানে ঢাকা:  

 

কক্সবাজারে ৩ উইকেটে ২৪৩ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেছিল বরিশাল। শেষ পর্যন্ত তারা অলআউট হয়েছে ৩৪১ রানে। দলটির হয়ে ফিফটি পেয়েছেন তাসামুল হক ও মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। ঢাকার সুমন খান নেন ৪ উইকেট।  

 

৬৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামা ঢাকা ১২৪ রান তুলতে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে। তৃতীয় দিন শেষে ৫৬ রানে এগিয়ে গেছে দলটি।  

 

তিন দিনেই চট্টগ্রামকে হারিয়েছে সিলেট: 

 

অন্যদিকে সিলেটের সামনে শুরু থেকেই দাঁড়াতে পারেনি চট্টগ্রাম বিভাগ। প্রথম ইনিংসে সিলেট ২৫৫ রান তুলেছিল। জবাবে ১১০ রানে অলআউট হয়ে যায় চট্টগ্রাম। দ্বিতীয় ইনিংসে সিলেটকে ২০৭ রানে অলআউট করে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয় চট্টগ্রাম। তাদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৫৩ রানের। 

 

বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আবারও ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে দলটি। ২০৫ রানেই অলআউট হয়ে যায় তারা। ফলে ১৪৭ রানের বড় হারের স্বাদ পায় চট্টগ্রাম। 

 

আরও পড়ুন: পিসিবির কাছে ক্ষমা চাইলেন রশিদ

 

শুরুতেই শূন্য রানে ফিরে যান সাদিকুর রহমান। এরপর জসিম উদ্দিন ও জিল্লুর রহমান মিলে দলের হাল ধরেন। তবে তাদের কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৫ রান করেন জসিম আর ২৭ রান করেন জিল্লুর। 

 

একপ্রান্ত আগলে রেখে ৬০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন শাহাদাত হোসেন দিপু। তবে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। ইরফান শুক্কুরের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৭ রান। চট্টগ্রামের শেষ চার ব্যাটারই আউট হয়েছেন দুই অঙ্কে যাওয়ার আগেই। আগের ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে চট্টগ্রামের ইনিংস ধসিয়ে দিয়েছিলেন আবু জায়েদ রাহি। 

 

দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৩টি উইকেট নিয়েছেন রেজাউর রহমান রাজা। এর আগে প্রথম ইনিংসে রাজার ঝুলিতে ছিল ২ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে একটি করে উইকেট পান মহিউদ্দিন তারেক ও শাহানুর রহমান। 

 

এদিন ৬ উইকেটে ১৯৩ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল সিলেট। ৫৮ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন অমিত হাসান। তিনি আর এক রানও যোগ করতে পারেননি। 

 

শেষদিকে শাহানুর রহমান ১৩ রান করেছেন। শেষ চার ব্যাটার দুই অঙ্কে যাওয়ার আগেই আউট হলে সিলেটের ইনিংস গুটিয়ে যায় ২০৭ রানে। চট্টগ্রামের হয়ে ৫টি করে উইকেট নিয়ে ১০ উইকেট ভাগাভাগি করেন ইরফান হোসেন ও নাইম হাসান।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন