মে দিবস উপলক্ষে শ্রমজীবী মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে বুধবার (৩০ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে তিনি এই কথা বলেন।
নূরুন্নিসা সিদ্দীকা আরও বলেন, ‘১৮৮৬ সালের ১ মে আমেরিকার শিকাগো শহরে শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আত্মত্যাগের যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল বিশ্বের শ্রমিক সমাজ, এর অনুপ্রেরণায় অধিকার আদায়ের আন্দোলন চালিয়ে আসছে। তবে শ্রমিকদের অধিকার আজও পুরোপুরি আদায় হয়নি। শ্রমিকদের যথাযথ বেতন-ভাতা, কর্মপরিবেশ ও কর্মঘণ্টার দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করতে দেখা যায়। এমনকি অনেক সময় আন্দোলন করতে গিয়ে জীবনও দিতে হয়। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়।’
তিনি বলেন, ‘দেশের প্রায় অর্ধেক নারী শ্রমিক রয়েছেন, বিশেষ করে পোশাক কারখানায় অর্ধেকেরও বেশি নারী কাজ করেন। তাদের অবস্থা আরও করুণ। এখনও নারী শ্রমিকরা ন্যায্য ভাতা পান না।’
আরও পড়ুন: শুধু প্রস্তাব নয়, নারী কমিশনকেই প্রত্যাখ্যান করছি: জামায়াত আমির
নারী পুরুষ উভয়েই ন্যায্য অধিকার পাবে এটাই মে দিবসের দাবি উল্লেখ করে জামায়াতের এই নেত্রী বলেন, ‘কল-কারখানা ও উৎপাদন সেক্টরগুলোতে মালিক শ্রমিক দ্বন্দ্ব প্রায় লেগেই থাকে। আন্দোলনরত শ্রমিকদের ছাঁটাই করতে দেখা যায় অনেক সময়। অন্যদিকে শ্রমিকরাও অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন, যা দুঃখজনক। এ ব্যাপারে মালিক ও শ্রমিকের দ্বন্দ্বের অবসান ঘটা আবশ্যক।’
ইসলামী শ্রমনীতিতে মালিক ও শ্রমিকের দ্বন্দ্বের অবসান এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার সঠিক সমাধান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই তাদের পাওনা পরিশোধ করার তাগিদ করেছেন আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে উভয়ের জন্যই প্রকৃত কল্যাণ প্রতিষ্ঠিত হবে।’
]]>