বুধবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার গিরিধারা বউবাজার এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে সন্ধ্যায় সহকর্মীরা পুলিশের উপস্থিতিতে আহতদের উদ্ধার করে শহরের খানপুর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাদের চিকিৎসা দেয়া হয়।
ইতিমধ্যে এই হামলা ও নির্যাতনের ভিডিও ফুটেজ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
হামলায় আহত সাংবাদিকদের অভিযোগ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি আতা-ই-রাব্বির বাবা শাহাদাত হোসেনের (৬০) নেতৃত্বে তাদের উপর এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার পর পর অভিযুক্ত শাহাদাত হোসেনকে আটক করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। খবর পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সঙ্গেও অশোভন আচরণ করা হয়।
আহত জাগো নিউজের সাংবাদিক মো. আকাশ বলেন, 'ফতুল্লার গিরিধারা বউবাজার এলাকায় বিএনপির নামধারী নেতা শাহাদাত চৌধুরী ওরফে পুলিশ শাহাদাত ও তার ছেলে রাব্বি ওই এলাকার এক নারীর কারখানা দখল করে তার বাসার গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। তিনদিন যাবত ওই নারী ও তার পরিবারকে তাদের কারখানায় আটকে রেখে খাওয়া ধাওয়া বন্ধ করে রেখেছিল। একই সাথে ওই নারীর মেয়ের শ্লীলতাহানি ও তাকে মারধর করা হয়েছে। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী পুলিশ সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার কাছে অভিযোগ করেও এর কোন প্রতিকার পাচ্ছিলেন না।'
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সাংবাদিকের ওপর হামলা, স্বেচ্ছাসেবক দলের ২ নেতা বহিষ্কার
জাগো নিউজের সাংবাদিক মো. আকাশ বলেন, 'এমন অভিযোগ পেয়ে ঘটনার সত্যতা জানতে আমরা তিনজন বুধবার বিকেলে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে কথা বলার সময় অভিযুক্ত শাহাদাত লোকজন নিয়ে এসে আমাদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা করে। তারা আমি সহ আমার সঙ্গে থাকা ক্যামেরাম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন ও আয়াজকে বেধড়ক মারধর করে। এক পর্যায়ে তারা আমাদের তিনজনের মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ভাঙচুর করে। পরে আমাদের তিনজনকে টেনে হেঁচড়ে একটি রুমে নিয়ে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা আটকে রেখে লাঠিসোঁটা ও রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।'
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাহাদাতকে আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন সময় সংবাদকে বলেন, 'হামলার ঘটনা শুনে আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। সেখান থেকে অভিযুক্ত একজনকে আটক করে থানায় এনে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা মামলা হিসেবে গ্রহণ করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেবো।'

২ সপ্তাহ আগে
৪







Bengali (BD) ·
English (US) ·