আর এই দৃশ্য দেখে আল্লাহ তাআলা নিজেই ফেরেশতাদের সামনে গর্ব করেন! এটি এমন এক মর্যাদা, যা অন্য কোনো ইবাদতের ক্ষেত্রে খুব কমই উল্লেখ করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলার গর্বভরা ঘোষণা,
আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রা.) বর্ণনা করেন, আমরা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে মাগরিবের নামাজ আদায় করলাম। অনেকে চলে গেলেন, আবার কিছু সাহাবি থেকে গেলেন। হঠাৎ রসুলুল্লাহ (সা.) দ্রুতবেগে এসে দাঁড়ালেন, তাঁর শ্বাস দীর্ঘ হয়ে গেল। তিনি দুই হাঁটুর ওপর ভর করে বসে বললেন,
আরও পড়ুন: নবীজির প্রিয় স্ত্রী
তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ করো! তোমাদের রব আসমানের একটি দরজা খুলে দিয়েছেন এবং ফেরেশতাদের সামনে তোমাদের কথা গর্বের সঙ্গে বলছেন: তোমরা আমার এসব বান্দাদের দিকে তাকাও, তারা এক ফরজ নামাজ আদায় করেছে এবং এখন অন্য ফরজের জন্য অপেক্ষা করছে। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৮০১)
এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, আল্লাহ তাআলা এমন বান্দাদের প্রতি বিশেষ অনুগ্রহ ও ভালোবাসা প্রদর্শন করেন, যারা নামাজের পর আবার নামাজের জন্য মনোযোগী থাকে।
নামাজের অপেক্ষা মানেই গুনাহ মোচনের সুযোগ
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
আমি কি তোমাদের এমন আমলের কথা বলব না, যার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা গুনাহ মুছে দেন এবং মর্যাদা বৃদ্ধি করেন?
(তা হলো) কষ্টের সময় পূর্ণরূপে অজু করা, মসজিদের দিকে নামাজের উদ্দেশ্যে বারবার গমন, এবং এক নামাজের পর আরেক নামাজের অপেক্ষা করা। এটাই হলো রিবাত, এটাই রিবাত, এটাই রিবাত। (মুয়াত্তা মালিক: ৩৭৩)
‘রিবাত’ অর্থ সীমান্ত প্রহরায় সতর্ক থাকা। নবীজী এখানে নামাজের অপেক্ষাকে রিবাতের সঙ্গে তুলনা করেছেন,অর্থাৎ, যারা নামাজের জন্য অপেক্ষা করে তারা যেন আল্লাহর দ্বীনের প্রহরী, যারা সর্বদা ইমান ও আমলের পাহারায় নিয়োজিত।
নামাজের জন্য অপেক্ষা করা কোনো সাধারণ কাজ নয়। এটি এমন একটি ইবাদত, যা বান্দাকে করে তোলে আল্লাহর প্রিয়, ফেরেশতাদের আলোচ্য ও গুনাহমুক্ত একজন ভাগ্যবান মানুষ। যে মসজিদে বসে নামাজের সময়ের প্রতীক্ষায় থাকে, সে আসলে জান্নাতের পথে বসে আছে, কারণ প্রতিটি মুহূর্তে তার আমলনামা আলোকিত হচ্ছে, আর আসমানের ফেরেশতারা তার জন্য দোআ করছে।

৩ সপ্তাহ আগে
৬







Bengali (BD) ·
English (US) ·