ফতেপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের আহুড়া গ্রামের বিএনপি নেতা মো. মতিউর রহমানের নেতৃত্বে তারা জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেন।
বিএনপি থেকে জামায়াতে যোগদান করা মতিউর রহমান বলেন, আমি আগে বিএনপি করতাম, তবে এখন জামায়াতে ইসলামীতে যোগদানের ইচ্ছে পোষণ করেছি। আমার আত্মীয়স্বজনদের বললে তারাও আমার সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান করেন। যে ২৮ জন আজকে জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেছেন, তারা সকলেই বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিল।
ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আহসান হাবীব বলেন, আমাদের দাওয়াতী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আমরা তাদের আহ্বান জানাই, তারই প্রেক্ষিতে তারা জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেন। আগামীতে তারা জামায়াতের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যে-কেউই জামায়তে ইসলামীতে যোগ দিতে পারেন, তাদের জন্য দরজা উন্মুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: নাচোলে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষে ২ ভাইয়ের মৃত্যু!
ফতেপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাইরুল ইসলাম বলেন, আমি এখনো এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাইনি। মতিউর রহমান গতকালও আমার সঙ্গে দলীয় মিটিংয়ে ছিলো। জামায়াতে ইসলামীতে তার যাওয়ার কথা না। তবুও বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ফতেপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা মো. আহসান হাবীব, নায়েবে আমির আলহাজ্ব মনিরুল ইসলাম, সেক্রেটারি মো. মাহমুদুল হাসান, ইউনিয়ন যুব বিভাগের সভাপতি মো. শাকিল আহমেদসহ স্থানীয় জামায়াতের নেতাকর্মী ও সমর্থকবৃন্দ।
যোগদানকারীরা হলেন, মো. মতিউর রহমান, মো. হযরত আলী, আবু বক্কর, মো. জারজিস আলী, মো. আমিরুল, মো. মশিউর রহমান, মো. রবিউল, আলী হাসান, মো. আশরাফুল, আবুল সাত্তার, মো. লিটন, মো. কাজল আলী, মো. শামীম আলী, মো. মেহেদী হাসান, কামাল উদ্দিন, মো. মামুন, মো. মনিব, মো. বকুল, মোতাহার, মো. একরামুল, মো. মকুল, মো. জিল্লু চেনু, মো. ইউনুস ও মো. সেলিমসহ অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন: নাচোলে নিহত দুই শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের কর্মী নয়, পরিবারের দাবি
উল্লেখ্য, গত মাসে ফতেপুর ইউনিয়নে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ দুই নিহত ও ১২ জন আহত হয়। নিহতরা জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল সালাম তুহিনের সমর্থক ছিলেন। সাবেক এমপি আমিনুল ইসলামের সমর্থকদের হামলার এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
]]>
২ সপ্তাহ আগে
৪







Bengali (BD) ·
English (US) ·