রোববার (২৬ অক্টোবর) সকালে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের অডিটোরিয়ামে সর্বজনীন পেনশন মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, সরকারের একশত ৪৩টি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মধ্যে কিছু কমিয়ে এবারের বাজেটে ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবুও এসব ভাতা অনেকের জন্য অপ্রতুল। সরকারি পেনশন সুবিধা পাচ্ছেন মাত্র ১৪ লাখ সরকারি কর্মচারী, অথচ বিপুলসংখ্যক বেসরকারি ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এর বাইরে রয়ে গেছে। তাদের আর্থিক নিরাপত্তার জন্যই সর্বজনীন পেনশন স্কিম একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষকরা অল্প পেনশন পান, তা পেতেও ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বেসরকারি চাকরিজীবীরা চাকরি হারানোর আতঙ্কে থাকেন। তাই এই স্কিম তাদের জন্য আশার আলো। অংশগ্রহণকারীরা নিজের জমাকৃত তহবিল থেকে ঋণ নিতে পারবেন এবং ১০ বছর চাঁদা জমা রাখলেই পেনশন সুবিধা পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: জাতীয় পেনশন স্কিমে মুনাফা কত জানা গেল
এ সময় তিনি আরও বলেন, এই কর্মসূচিকে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার সুযোগ নেই। সরকার শতভাগ নিশ্চয়তা দিচ্ছে—এটি সকল নাগরিকের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার কর্মসূচি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম বলেন, জনগণের প্রতি রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা থেকেই এই উদ্যোগের সূত্রপাত। এর লক্ষ্য হলো অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফিরোজ শাহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দীন খান, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার এবং সদস্য (ফান্ড ম্যানেজমেন্ট) মো. গোলাম মোস্তফা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. হুসাইন শওকত।
আরও পড়ুন: সর্বজনীন পেনশন স্কিম গতিশীল করতে ১৭ ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা
এর আগে খুলনা আঞ্চলিক লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। দিনব্যাপী মেলায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের ৫০টি স্টলে সর্বজনীন পেনশন বিষয়ে তথ্য ও সেবা প্রদান করা হয়।
পরে বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, একটি কল্যাণ রাষ্ট্রের মূল দায়িত্ব হলো নাগরিকের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষ কঠিন বাস্তবতায় বসবাস করে—তাদের সম্মানজনক জীবনের নিশ্চয়তার জন্যই এই সর্বজনীন পেনশন স্কিম।
এর আগে তিনি খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।
]]>
৩ সপ্তাহ আগে
৬







Bengali (BD) ·
English (US) ·