বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই নতুন বেতন স্কেল কার্যকর হতে পারে। কমিশন আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেবে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার মান বিবেচনায় বেতন বাড়ানোর হার শতভাগ হতে পারে। এতে বেতন দ্বিগুণ হলে সরকারের ব্যয়ও দ্বিগুণ হবে, যা সার্বিক অর্থনীতিতে চাপ সৃষ্টি করবে।
আরও পড়ুন: পে স্কেলে সর্বনিম্ন বেতন ৩৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদের মধ্যেই নতুন বেতন কাঠামো গ্যাজেটের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে এবং এর জন্য অর্থের বরাদ্দ চলতি (২০২৫-২৬) অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী বছরের মার্চ বা এপ্রিলে নতুন পে-স্কেল কার্যকর করতে হলে ডিসেম্বরে বাজেট সংশোধন শুরু হবে এবং সেখানেই নতুন পে-স্কেল কার্যকরের বিধান যুক্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত বেতন বাড়ানোর সুপারিশ, কোন গ্রেডে কত বাড়বে?
বেতন দ্বিগুণ হলে সরকারের ব্যয় বাড়লেও অর্থ বিভাগ মনে করছে, এই চাপ সামাল দেয়া সম্ভব। তাদের মতে, বেতন বাড়লে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়বে এবং একইসাথে সরকারের রাজস্ব আদায়ও বাড়বে।
অতিরিক্ত অর্থের সংস্থানের জন্য অর্থ বিভাগ দুটি প্রধান উৎসকে সামনে আনছে:
আয়কর সম্প্রসারণ: বর্তমানে সর্বনিম্ন বেতন স্কেল ৮,২৫০ টাকা, যা নতুন কাঠামোতে ১৬ হাজার টাকার বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে এতদিন আয়করের আওতার বাইরে থাকা সর্বনিম্ন স্কেলের সবাই করের জালে চলে আসবেন, যা সরকারের জন্য বড় অঙ্কের রাজস্ব দেবে।
বাড়িভাড়া বৃদ্ধি: বেতন কাঠামো সমন্বয় করার ফলে সরকারি বাসাবাড়ির ভাড়ার হার বাড়বে, যা থেকেও সরকারের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে।
অর্থ বিভাগ মনে করে, এই বেতন বৃদ্ধি শুধু ব্যয় বাড়াবে না, বরং রাজস্ব আদায়ের পরিধি বাড়িয়ে সামগ্রিক অর্থনীতিতে ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক হবে।
জাতীয় পে-কমিশনের সভাপতি সাবেক অর্থ সচিব জাকির আহমেদ খান বলেছেন, বেতন কমিশন নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই সুপারিশ সরকারের কাছে পেশ করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে। কমিশন এরইমধ্যে অনলাইনে প্রাপ্ত সর্বসাধারণের মতামত ও সুপারিশ যাচাই-বাছাই করছে এবং বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশন বা সমিতির সঙ্গে বৈঠক করে তাদের মতামত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে।

৩ সপ্তাহ আগে
৬







Bengali (BD) ·
English (US) ·