বুধবার (২৬ নভেম্বর) এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাতে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পে কমিশনের সুপারিশ প্রণয়ন ও ১৫ ডিসেম্বরের আগেই অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে গেজেট প্রকাশের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবির।
আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে জানিয়ে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, বেতন গ্রেড কমিয়ে আনা, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পে কমিশনের সুপারিশ জমা এবং ১৫ ডিসেম্বরের আগেই অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করে পে স্কেলের গেজেট, অর্থাৎ নবম জাতীয় বেতন স্কেলের ঘোষণার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সচিবদের সঙ্গে বৈঠক শেষে নতুন পে স্কেলের সুপারিশ নিয়ে যা জানা গেল
কমিশন চেয়ারম্যানের বরাত দিয়ে বাদিউল কবির জানান, তারা দাবিগুলোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে। ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই রিপোর্ট দেয়ার চেষ্টা করছে।
নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করতে গত ২৭ জুলাই গঠন করা হয় জাতীয় বেতন কমিশন। এরইমধ্যে গত ১ থেকে ১৫ অক্টোবর সাধারণ নাগরিক, সরকারি চাকরিজীবী, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং অ্যাসোসিয়েশন বা সমিতি এই চার শ্রেণিতে প্রশ্নমালার মাধ্যমে কমিশন অনলাইনে সর্বসাধারণের মতামত সংগ্রহ করেছে। এছাড়া সোমবার (২৪ নভেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত জাতীয় বেতন কমিশনের সম্মেলন কক্ষে সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করে কমিশন।
এদিকে পে কমিশনের জন্য আলাদা কমিশন কাজ করছে জানিয়ে সম্প্রতি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, তিনটি রিপোর্ট পাওয়ার পর সেগুলো যাচাই-বাছাই করে তারপরই কমিশন দিতে হবে। বর্তমান সরকার একটি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে, আর পরবর্তী সরকার সেটি বাস্তবায়ন করবে।
আরও পড়ুন: নতুন পে স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে যে বার্তা দিলেন অর্থ উপদেষ্টা
তিনি আরও বলেন, ‘গত ৮ বছরে এ বিষয়ে কিছু হয়নি, তাই আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। তবে এখানে বাজেটের বিষয়ও আছে এবং সরকারের অন্যান্য সামাজিক খাতকেও বিবেচনায় নিতে হবে। পরবর্তী সরকার পে কমিশন দিবে না কেন? এটা তো যৌক্তিক।’
এদিকে পে কমিশনকে সুপারিশ দাখিলের জন্য ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আলটিমেটাম দিয়েছেন কর্মচারী নেতারা। এই সময়ের মধ্যে সুপারিশ না দিলে কঠোর আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তারা। পে স্কেল বাস্তবায়নের দাবিতে আগামী ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশও করবেন কর্মচারীরা।
]]>
১ ঘন্টা আগে
১






Bengali (BD) ·
English (US) ·