ঘরোয়া ক্রিকেটের ঘটনায় ঘটে গেছে লঙ্কাকাণ্ড। শেষমেশ অবশ্য জিতেছেন আম্পায়ার সৈকত-ই।
ঘটনা সপ্তাহ দেড়েক আগের। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার সৈকতের সঙ্গে তর্কে জড়ান মোহামেডানের অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়। মাঠের সে ঘটনার পর সংবাদমাধ্যমে হৃদয় আবার দাম্ভিকতার সুরে বলেছিলেন, তিনি আন্তর্জাতিক আম্পায়ার হলে আমিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।
ম্যাচ অফিসিয়ালদের সঙ্গে তর্ক, কটাক্ষ ও তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার কারণে ২ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পান হৃদয়। এরপর হৃদয় ও তার দল মোহামেডান শাস্তি কমানোর জন্য ডিপিএলের টেকনিক্যাল কমিটির কাছে আবেদন করেন। তবে কমিটি কোনো সাড়া দেয়নি। অন্যদিকে এখতিয়ার না থাকলেও বিসিবির আম্পায়ার বিভাগ শাস্তি কমিয়ে এক ম্যাচে নিয়ে আসে। ম্যাচ খেলেন হৃদয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে হারিয়ে চার বছর পর টেস্ট জিতল জিম্বাবুয়ে
নিয়ম ভেঙে হৃদয়ের এই শাস্তি কমানোর সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়ে বিসিবির চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন সৈকত। তিনি বিসিবির কাছে পদত্যাগ পত্রও জমা দেন। তবে পরবর্তীতে বিসিবির আম্পায়ার বিভাগ নিজেদের ভুল স্বীকার করে নেয়। তাতে অভিমানও ভাঙে সৈকতের। আম্পায়ার্স বিভাগের প্রধান ইফতেখার আহমেদ মিঠুর আলোচনার পর পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারে রাজি হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: পুরো ম্যাচ আমি একা হারিয়ে দিয়েছি : শান্ত
একইসঙ্গে কমানো শাস্তি ফের কার্যকর হলো হৃদয়ের জন্য। ফলে সুপার লিগে মোহামেডানের হয়ে ডিপিএলের পরবর্তী ম্যাচ খেলতে পারবেন না হৃদয়।