বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে নড়াইল আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রত্না সাহা ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মারুফ হাসান পৃথক আদেশে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নড়াইল কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক সরেস চন্দ্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কোর্ট পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতন এলাকা থেকে নড়াইল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কবিরুল হককে আটক করে গুলশান থানা পুলিশ। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
আরও পড়ুন: নড়াইলের সাবেক এমপি মুক্তি গ্রেফতার
২০২৪ সালের আগস্ট পরবর্তী সময়ে নড়াইলের কালিয়া থানায় দুটি ও নড়াগাতী থানায় দুটি করে পৃথক চারটি রাজনৈতিক মামলা দায়ের হয় সাবেক এমপি মুক্তির বিরুদ্ধে। পৃথক মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাগণ উল্লেখিত মামলাগুলোতে গ্রেফতার দেখাতে সংশ্লিষ্ট আদালতে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাকে সশরীরে হাজির করার নির্দেশ দেন।
নড়াইলের আদালতের পৃথক নির্দেশে ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার হতে মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে নড়াইল জেলা কারাগারে নেয়া হয় সাবেক এ সংসদ সদস্যকে। বুধবার সকালে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় নড়াইলের ৪টি পৃথক রাজনৈতিক মামলায় কবিরুল হককে আদালতে হাজির করা হয়। ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ পৃথক রাজনৈতিক মামলায় দুই আমলি আদালতের পৃথক আদেশে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়, পরে আসামি পক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি মুক্তিসহ দুজন ৬ দিনের রিমান্ডে
কবিরুল হক মুক্তি ২০০৮ সালের নবম, ২০১৪ সালের দশম, ২০১৮ সালের একাদশ ও ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
গত ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারত পালিয়ে গেলে পরদিন ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিলে কবিরুল হক মুক্তি সংসদ সদস্য পদ হারান। তার বিরুদ্ধে বিস্ফোরকসহ বেশ কয়েকটি আইনে মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

১ সপ্তাহে আগে
২







Bengali (BD) ·
English (US) ·