ধুলো ঝড়ের কারণে আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়ল রিশাদের দল

৩ সপ্তাহ আগে
আক্ষেপটা হয়তো লাহোর কালান্দার্সেরই বেশি হচ্ছে। কারণ শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু পেয়েছিল তারা। মিডল অর্ডার ভালো করলে স্কোর ২০০ ছাড়িয়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা ছিল। তবে ঝড়-বৃষ্টির কারণে সেটা আর সম্ভব হয়নি। শুরুতে ধুলো ঝড়ে খেলা বন্ধ হওয়ার পর গুড়িগুড়ি বৃষ্টির কারণে ম্যাচ আর মাঠে গড়ানো সম্ভব হয়নি।

লাহোরে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই ফখর জামানের উইকেট হারায় লাহোর। তবে এরপরই শুরু হয় মোহাম্মদ নাইম এবং আব্দুল্লাহ শফিকের ঝড়। দ্বিতীয় উইকেটে ১০১ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার।

 

ঝড়ের শুরুটা করেন মোহাম্মদ নাইম দ্বিতীয় ওভারে এক ছক্কা এবং চার মেরে। পাওয়ারপ্লের বাকি ওভারগুলোতেও সেই ঝড় অব্যাহত রেখেছেন তিনি। তিনে নেমে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে যোগ দেন শফিকও।  পাওয়ারপ্লেতে ৬৭ রান করে লাহোর।

 

পাওয়ারপ্লের পরেও ব্যাট হাতে দাপট অব্যাহত রেখেছেন শফিক-নাইম। দুজনেই পেয়েছেন ফিফটির দেখা। ২৯ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন শফিক। বৃষ্টি নামার আগ পর্যন্ত ৩২ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।

 

২৮ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন শফিক। তবে ফিফটির পরেই আবরার আহমেদের বিপক্ষে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন এই ব্যাটার। ৩০ বলে ৫০ রান করেন নাইম।

 

আরও পড়ুন: চাপে থাকা রাজস্থান এক পেসারকে হারিয়ে আরও চাপে

 

নাইমের বিদায়ের পর উইকেটে এসে ড্যারিল মিচেলও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৪ বলে ৩ রান তিনিও আবরারের শিকারে পরিণত হন। দলীয় ১১১ রানে আউট হন মিচেল।   

 

মিচেলের বিদায়ের পরপরই প্রবল ধুলো ঝড় শুরু হয় লাহোরে। ঝোড়ো বাতাসের প্রভাব এতোটাই বেশি ছিল যে খেলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। তাই খেলা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন আম্পায়াররা। ঝড় শুরুর আধা ঘণ্টা পরই বাতাস কমে আসে। তবে খেলা আর মাঠে গড়ানো সম্ভব হয়নি। কারণ ঝড় শেষেই শুরু হয় গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। আর সেই বৃষ্টি থামার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি রাত ১১টার আগ পর্যন্ত। ম্যাচ মাঠে গড়ানোর কোনো সম্ভাবনা না দেখে নির্ধারিত সময়ের আগেই খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা।  

 

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন