১ সপ্তাহে আগে
২
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ড. সুজন চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগ এবং বিভাগীয় একাডেমিক কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বিষয়টি গুরুতর হওয়ায় যবিপ্রবি শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সাধারণ আচরণ, শৃঙ্খলা ও বিধি অনুযায়ী শিক্ষকের নৈতিকতা, দায়িত্ববোধ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তির পরিপন্থি। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
একইসাথে সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে সবার নিরাপত্তার স্বার্থে ড. সুজনকে প্রশাসনিক, একাডেমিকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য এবং কর্মস্থলে না আসার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, শিক্ষককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ
উল্লেখ্য, যবিপ্রবি শিক্ষক ড. সুজন চৌধুরীর বিরুদ্ধে সম্প্রতি জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে। এছাড়া তাকে উপযুক্ত শাস্তি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই নারী। জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বিরোধিতা ও অবমাননার অভিযোগ রয়েছে ড. সুজন চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
অদৃশ্য ক্ষমতার বলে শাস্তি না পাওয়া ড. সুজন চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজ বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও নারী শিক্ষার্থীদের হয়রানি করার অভিযোগ থাকলেও তার ক্ষমতার কারণে মুখ খুলেনি কোনো ভুক্তভোগী।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কারাগারে
এদিকে গত জুলাই আন্দোলনে তিনি শিক্ষার্থীদের প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে আন্দোলনের বিরোধিতা করেন। পরবর্তীতে নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাকে সব প্রকার একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অপসারণের দাবি তুলে আন্দোলন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আশ্বাস দিলেও নেয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা।
]]>
Bengali (BD) · 
English (US) ·