বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক ড. নাজমুস সাদাত এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘এই শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ উঠেছিল। সেই প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন গত ৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ২৭তম শৃঙ্খলা বোর্ডের সভায় উত্থাপন করা হয়। শৃঙ্খলা বোর্ড সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে একাডেমিক কাউন্সিলের কাছে আপিল করতে পারবেন।’
অভিযোগ অনুসারে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে চলে যাওয়ার পর গত ৫ আগস্ট থেকে মো. রাসেল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘জুলাই আন্দোলন’কে বিভিন্নভাবে কটাক্ষ করতে থাকেন। এছাড়া তিনি ইসলাম ধর্মের বিধিবিধানসহ বিভিন্ন বিষয়ে একাধিকবার অবমাননাকর পোস্ট দেন।
আরও পড়ুন: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কুকুরের ভয়াবহ উৎপাত, আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা
তিনি ‘জুলাই আন্দোলন’-এর নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীদের ‘লাল গেঞ্জি’ বলেও কটাক্ষ করেন এবং মুসলমানদের ধর্মীয় ফরজ বিধান নিয়েও অবমাননাকর মন্তব্য করেন। একই ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী তনয় রায়ের বিরুদ্ধেও ইসলাম ধর্মের ফরজ বিধান নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে।
জানা গেছে, তারা দুজনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ ওঠার পর বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদী চত্বরে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে তাদের বিচারের দাবি জানান।
]]>
১ সপ্তাহে আগে
৩







Bengali (BD) ·
English (US) ·