মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ২৬ হাজার ৫১৫ দশমিক ৯৯ মিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২১ হাজার ১৭৫ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এর আগে গত ১৩ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৬ হাজার ৩৮৬ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২১ হাজার ১১৪ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের ১২ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল প্রায় ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তবে গত ১৩ এপ্রিল আরিফ হোসেন খান জানিয়েছিলেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ঋণপ্রাপ্তির অন্যতম শর্ত ছিল, নেট রিজার্ভ জুনের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় থাকতে হবে। দেশের রিজার্ভ এখন সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। আশা করছি আইএমএফের শর্ত জুনের মধ্যে পূরণ করতে সক্ষম হব।
দাতা সংস্থা আইএমএফের ঋণ প্রাপ্তির শর্ত পূরণে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রার থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১ বিলিয়ন ডলার পিছিয়ে রয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী জুনে নিট রিজার্ভ-এনআইর থাকতে হবে ১৭ বিলিয়নের কিছুটা বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিট রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন।
উল্লেখ্য, নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের বিপিএম-৬ পরিমাপ অনুসারে। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।