স্যুইং, ফিটিং, ফ্রেবিকের পাশাপাশি নান্দনিক সব ডিজাইন- সব মিলিয়ে বিশ্বের নামিদামি সব ব্র্যান্ডের সঙ্গে টেক্কা দিচ্ছে বেশকিছু ব্র্যান্ডের পোশাক। রফতানিযোগ্য হলেও সামান্য ত্রুটি থাকায় বিশ্বমানের এসব পোশাকের জায়গা হয় রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বিপণিবিতানে। তুলনামূলক কম দাম ও গুণগত মান ভালো হওয়ায় ক্রেতাদের মাঝেও এসব পণ্যের রয়েছে বেশ কদর।
তবে বাংলাদেশের বাজারের জন্য রফতানিযোগ্য মানের তৈরি পোশাক বিক্রি করছে বেশ কিছু ব্র্যান্ড। নামিদামি বিভিন্ন বিদেশি ব্র্যান্ডের ঝোঁক থেকে বেরিয়ে মধ্যবিত্ত শহুরে শ্রেণি এখন ছুটেছেন এসব দোকানে। ভোক্তারা বলেন, কাপড়ের মান প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বাইরের দেশের পোশাকের চেয়ে দামও তুলনামূলক কম।
প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, মান ঠিক রেখে পণ্যের দাম নির্ধারণে বিবেচনায় রাখা হয় দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা। ফলে সহজেই ক্রেতাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন তারা। বাড়ছে ব্র্যান্ড হিসেবে সুনাম ও কলেবর।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাক রফতানি / মার্কিন বাজার ধরতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির তাগিদ
সারা লাইফস্টাইল লিমিটেডের পরিচালক শরীফুন রেবা বলেন, গত দুই বছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ভালো ব্যবসা হয়েছে। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে পোশাক দাম নির্ধারণ করা হয়। এতে সহজেই মানুষ কিনতে পারছেন।
টিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, বিদেশি ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে গিয়ে যে ফ্যাশন উপলব্ধি ও দক্ষতা উন্নয়ন হয়েছে, সেটিকে কাজে লাগিয়ে দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে পোশাক বিক্রি করা হচ্ছে।
মেইড ইন বাংলাদেশ খ্যাত পোশাক শিল্পের বৈশ্বিক সুনাম কাজে লাগিয়ে দেশীয় এসব প্রতিষ্ঠানকে আরও শক্তিশালী করতে যথাযথ উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা। অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ বলেন, ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পকে উন্নত করতে পারলে পণ্যের কাঁচামালের খরচ কমবে। পাশাপাশি বাড়বে দেশের কর্মসংস্থানও।
এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে গুণগত মান ও ফ্যাশন চাহিদা মিটাতে বিদেশি ব্র্যান্ড নির্ভরতা কমবে বলেও মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।
]]>