আফগানিস্তান সিরিজে হতাশাজনক পারফরম্যান্স করে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ দিয়ে বের হওয়ার সময়ই সমর্থকদের ক্ষোভের মুখে পড়েন তারা। সেখানে উপস্থিত সমর্থকরা দুয়ো দিতে থাকেন টাইগারদের। অনেককেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে দেখা যায়।
সমর্থকদের এই ক্ষোভ কষ্ট দিয়েছে টাইগার ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখকে। সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে সাইফের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে হতাশ করেছিলেন নাঈম। কুৎসিত ব্যাটিংয়ে ২৪ বলে ৭ রান করে আউট হয়েছিলেন এই বাঁহাতি।
গতকাল দেশে ফেরার পর সমর্থকদের আচরণে কষ্ট পেয়ে নাঈম ফেসবুকে লিখেছেন, 'আসসালামু আলাইকুম।
আরও পড়ুন: এখন থেকে ছেলেদের সমান ভাতা পাবে মেয়েরাও
আমরা যারা মাঠে নামি, আমরা শুধু খেলি না — আমরা দেশের নামটা বুকে নিয়ে নামি। লাল-সবুজ পতাকাটা শুধু শরীরে নয়, রক্তে মিশে থাকে। প্রতিটা বল, প্রতিটা রান, প্রতিটা শ্বাসে চেষ্টা করি সেই পতাকাটাকে গর্বিত করতে।'
তিনি আরও লিখেছেন, 'হ্যাঁ, কখনো পারি, কখনো পারি না। জয় আসে, পরাজয়ও আসে — এটাই খেলাধুলার বাস্তবতা। জানি, আমরা যখন হেরে যাই, তখন আপনাদের কষ্ট হয়, রাগ হয় — কারণ আপনারাও এই দেশটাকে আমাদের মতোই ভালোবাসেন।'
দর্শক-সমর্থকদের কাছে কষ্ট বা ঘৃণা নয় বরং ভালোবাসা চান নাঈম, 'আজ যেভাবে আমাদের প্রতি ঘৃণা, গাড়ীতে আক্রমণ করা হয়েছে, তা সত্যিই কষ্ট দেয়। আমরা মানুষ, ভুল করি, কিন্তু কখনো দেশের প্রতি ভালোবাসা-চেষ্টার ঘাটতি রাখিনা। প্রতিটা মুহূর্তে চেষ্টা করি দেশের জন্য,মানুষের জন্য, আপনাদের মুখে হাসি ফোটাতে।
ভালোবাসা চাই, ঘৃণা নয়। সমালোচনা হোক যুক্তিতে, রাগে নয়। কারণ আমরা সবাই একই পতাকার সন্তান। জয় হোক, পরাজয় হোক — লাল-সবুজ যেন আমাদের সবার গর্ব থাকে, ক্ষোভের নয়।'
'আমরা লড়বো, আবার উঠবো — দেশের জন্য, আপনাদের জন্য, এই পতাকার জন্য। ইন শা আল্লাহ।'–নাঈম যোগ করেন।
এদিকে, দর্শক-সমর্থকদের পাল্টা প্রশ্ন রেখেছেন জাতীয় দলের বাইরে থাকা নাসির হোসেন–জিতে গেলে ১৭ কোটি মানুষ আনন্দ-উল্লাস করলেও হারের দায়ভার কেন শুধু ১১জন নেবেন? পয়েন্ট আকারে আরও কিছু প্রশ্ন রেখেছেন নাসির।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির বাগড়ায় ইংল্যান্ড জয় হলো না পাকিস্তানের
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নাসির লিখেছেন, 'আমরা ক্রিকেট প্লেয়ার, তার থেকেও বড় পরিচয় আমরা মানুষ, রক্তে মাংসে গড়া মানুষ কোনো রোবট নই যে অনুভূতি নেই । জিতে গেলে ১৭ কোটি মানুষ আনন্দ পায় উল্লাস করে তাহলে হেরে গেলে কেনো শুধু ১১জন কষ্টের দায়ভার বহন করবে? আমার প্রশ্ন জাতির কাছে কেউ কি ইচ্ছে করে হেরে যায় বা হারতে চায়? আনন্দ যদি ভাগাভাগি করে নেওয়া যায় তবে কষ্টের সময় একটু সহানুভূতি কি দেখানো যেতে পারে না? কটুকথা না শুনিয়ে, আত্মবিশ্বাসে আঘাত না করে, মনবল বৃদ্ধি করা বা জয়ের পথে এগোতে একটু কি উৎসাহ দেওয়া যায় না?'
'ইনশাআল্লাহ আল্লাহ চাইলে আগামীতে আমরাও ভালো করবো,হার জিত তোহ থাকবেই এতে করে ভেঙ্গে পরা যাবে না, আমরা আরও শক্তিশালি হয়ে মোকাবেলা করে দেখিয়ে দিতে চাই, আর চাই ১৭ কোটি মানুষের ভালোবাসা, দোয়া আর সমর্থন।'–নাসির যোগ করেন।

১ সপ্তাহে আগে
২







Bengali (BD) ·
English (US) ·